Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সাকিব-নাসিরে শীর্ষে ফিরল ঢাকা

বরিশাল বুলস : ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩২। ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৯.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫। ফল : ঢাকা ডায়নামাইটস ৪ উইকেটে জয়ী।

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ম্যাচ শেষে সবার মনে একটাই আক্ষেপ। এমন ম্যাচটাও শেষ ওভারে নিয়ে জিততে হল ঢাকা ডায়নামাইটসকে। লো স্কোরিং ম্যাচে বরিশাল বুলসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে তারা। তবে জয় যেমনই হোক পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ফেরাটা নিশ্চয় সাকিব-নাসিরদের কাছে বড় স্বস্তির।
বরিশাল বুলসের দেয়া মাত্র ১৩৩ রানের লক্ষ্যে পূরণের পথে মিরপুরের অলস পিচে শঙ্কা চেপে বসেছিল ঢাকার ইনিংসেও। সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন দুই ফিনিশার নাসির হোসেন ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের চতুর্থ উইকেটে ৪২ বলে ৫৫ রানের জুটিতে। ঢাকার ইনিংসে প্রথম ধাক্কাটা আসে তৃতীয় বলেই মেহেদী মারুফকে হারানোর মধ্য দিয়ে। তাইজুলকে তাড়া করে এসে মারতে গিয়ে লাইন মিস করে সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ইনফর্ম ব্যাটসম্যান। ৫১ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামাল দেন কুমার সাঙ্গাকারা ও সাকিব আল হাসান। কিন্তু এক ওভারের ব্যবধানে দুজনই ফিরলে দেখা দেয় শঙ্কার সেই কালো মেঘ। তাইজুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে পেরেরার হাতে ধরা পড়েন সাঙ্গাকারা (৩৩ বলে ৩২)। আর এনামুল হকের বলে তার হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাকিব (২১ বলে ২২)। এরপরই আসে নাসির-মোসাদ্দেকের সেই ৫৫ রানের জুটি। মনির হোসেনকে ছক্কা হাঁকানোর পরের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে আটকা পড়ে নাসিরের (২৯ বলে ৩৪) ফেরার মাধ্যমে ভাঙে এই জুটি। ততক্ষণে ঢাকার সামনে ৬ উইকেটে ২০ বলে ২০ রানের সহজ সমীকরণ। অষ্টাদশ ওভারের শেষ দুই বলে মোসাদ্দেক (২০ বলে ২৩) ও সেকুজ প্রসন্নর (৮ বলে ১০) উইকেট হারানোয় বড় ব্যবধানের জয় থেকে বঞ্চিত হয় ঢাকা। শেষ ওভারে ৪ রানের সমীকরণ প্রথম দুই বলেই মিলিয়ে নেন রবি বোপারা ও ডোয়াইন ব্রাভো।
এর আগে টস জিতে ব্যাট বেছে নেয়া বরিশালের ইনিংস শুরু থেকেই ছল গতিহীন। তৃতীয় ওভারে যখন শাহরিয়ার নাফিস ফেরেনে দলীয় স্কোর তখন মাত্র ৬। পরের দুজন রানআউটে কাটা পড়লে ৭ ওভার শেষে সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৩৭। এরপর অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে কিছুটা গতি পায় বরিশালের ইনিংস। কিন্তু সাকিবের বলে মুশফিক (৩০ বলে ৩৬) বোল্ড হলে ভাঙে ৪১ বলে ৪৭ রানের জুটি। নাদিফ চৌধুরীর (২৫ বলে ২১) ব্যাটটাও ছিল অলস ভঙ্গিমায়। শেষ দিকে রুম্মন রইস ১৩ বলে ২৫ রান করায় বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৩২ রান। ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ১ উইকেট নেয়া আবু জায়েদ হলেন দলের সেরা বোলার। তবে ৩১ রানের বিনিময়ে ব্রেকথ্রু এনে দেওয়া মুশফিকের সেই মূল্যবান উইকেট ও ব্যাট হাতে ২২ রানের কারণে ম্যাচসেরা হন সাকিব।
৯ ম্যাচে ঢাকার এটি ষষ্ঠ জয়, পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে সমান সংখ্যক হার বরিশালের। খুলনা টাইটান্সেরও সমান ৬টি জয় হলেও বোনাস পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষে ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিপিএল

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩
২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ