মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় দুর্নীতি বড় একটি চক্র ধরা পড়েছে। এই চক্রটি মেডিকেল কলেজগুলোর আসন বিক্রি করছে ২০ লাখ রুপিতে। সোমবার মেডিকেল কোর্সে ‘নিশ্চিত’ আসন পাইয়ে দেওয়ার এই চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বলিউডের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এ দেখানো উপায়ে কাজ করছিল এই চক্র। চক্রের এক সদস্য পরীক্ষার্থীদের ছদ্মবেশে মোটা অর্থের বিনিময়ে পরীক্ষায় অংশ নিতেন। চার রাজ্যে বিস্তৃত রয়েছে এই চক্রের জাল। ভর্তি পরীক্ষায় আসন পাইয়ের দেওয়ার বিনিময়ে যে ২০ লাখ রুপি নেওয়া হতো তার মধ্যে ৫ লাখ রুপি সেই ব্যক্তিকে দেওয়া হয় যিনি পরীক্ষার্থীর ছদ্মবেশ ধরেন। অর্থাৎ ভুয়া পরীক্ষার্থী সেজে যিনি এনইইটি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাব এন্ট্রান্স টেস্ট) পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সমাধান করেন। বাকিটা ভাগাভাগি হয় মধ্যস্বত্বভোগী ও অন্যদের মধ্যে।
সোমবার, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিল্লি থেকে এই চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত আটজনের মধ্যে ছয়জন এনইইটি পরীক্ষাতে বসে প্রশ্নপত্র সমাধান করেছে। এই দুর্নীতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড হলেন সফদরজংয়ের সুশীল রঞ্জন। এই সুশীলই ভুয়া ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট পরীক্ষার্থীদের জোগাড় করেন, তাদের অর্থ দেন এবং আসন পাইয়ে দেওয়ার জন্য টাকা নেন। বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা জুড়েও এই চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিবিআই কর্মকর্তারা।
এ পর্যন্ত চক্রটির ১১ জনের নাম মিলেছে, বাকিদের খোঁজ চলছে। তদন্তের অংশ হিসেবে পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবে সিবিআই। এতে কোচিংগুলির ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।