নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাজশাহী কিংস : ১৬২/৫ (২০.০ ওভারে)
রংপুর রাইডার্স : ১৫০/৫ (২০.০ ওভারে)
ফল : রাজশাহী কিংস ১২ রানে জয়ী।
খাইবার প্রদেশে নিজের নামে স্টেডিয়ামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে ছুটি নিয়ে পাকিস্তানে উড়ে গেছেন শহীদ আফ্রিদি। টি-২০’র এই সেশসেশনের অভাবটা গতকাল ভালই টের পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। বোলিং দিয়েই যে দলটি একটার পর একটা ম্যাচ হেসেছে, শহীদ আফ্রিদি না থাকায় সেই দলটির বোলিং কম্বিনেশন গেছে ভেঙ্গে! শহীদ আফ্রিদির জন্য নিয়মিদ বরাদ্দ থাকা ৪ ওভারের সেই ঘাটতিটাই গতকাল প্রকটভাবে ধরা পড়েছে। ব্যাটিংয়েও মিডল অর্ডারে ছন্দপতন হয়েছে বুম বুম আফ্রিদি না থাকায়। ৬ষ্ঠ রাউন্ড শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠা দলটি গতকাল রাজশাহী কিংসের কাছে ১২ রানে হেরেছে সে কারণেই।
রাজশাহী কিংসের শুরুটা এদিন হয়েছে দারুণ। ইনিংসের প্রথম ওভারে সোহাগ গাজীর বলে মুমিনুল মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেও ধাক্কা লাগেনি গায়ে। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারকে লাগিয়েছে পুরোপুরি কাজে (৫১/১)। দ্বিতীয় উইকেট জুটির ৩৪ বলে ৪৭ রানের পর লিয়াম ডসনের এক স্পেলে (৩-০-১৫-২) জুনায়েদ (২৩), সামিট প্যাটেল (১৭) ফিরে যাওয়ায় দলের চ্যালেঞ্জিং পুঁজির দায়িত্বটা এদিন নিয়েছিলেন অবিচ্ছিন্ন ৬ষ্ঠ জুটির ২ ব্যাটসম্যান ওমর আকমল-ড্যারেন স্যামী। ৩৭ বলে ৭০ রানের এই অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ বেছে নিয়েছিলেন শেষ তিন ওভারকে। আনোয়ার আলী এবং রুবেলকে বাগে পেয়ে চালিয়েছেন চাবুকÑ শেষ তিন ওভারে যোগ করেছেন তারা ৫৪ রান! ১৮-২০,এই তিন ওভারে ছিল ৫ ছক্কা, ৪ বাউন্ডারি। যার মধ্যে পাকিস্তানী পেসার আনোয়ার আলীকে ২০তম ওভারে তিন ছক্কা, ১ বাউন্ডারিতে ২২ রান যোগ করেছেন স্যামী, আকমল। ১৮ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় ৪৪ রানের হার না মানা ইনিংসে অধিনায়কের দায়িত্বটা দারুণভাবে পালন করেছেন স্যামী।
এই তিন ওভারই ব্যবধান গড়ে দিয়েছে ম্যাচে। শ্লথ গতির শুরুতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে পিছিয়ে পড়া (২৫/০) রংপুর রাইডার্সকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন টপ অর্ডার মিঠুন। ফরহাদ রেজাকে লং অনের উপর দিয়ে ছক্কায় বিপিএলের চলমান আসরে দ্বিতীয় ফিফটি উদযাপনে লেগেছে তার ৩০ বল। তবে ফর্মের তুঙ্গে থাকা মিঠুনের ৩ চার ৪ ছক্কায় ৩৬ বলে ৬৪ রানের হার না মানা ইনিংসটি বৃথা গেছে। শেষ ৩০ বলে রাজশাহী যেখানে ৬৮ রান করেছে যোগ, সেখানে শেষ ৫ ওভারে ৬০ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। শেষ ১৮ বলে ৪৪ রানের টার্গেটকে সামনে রেখে ১৮তম ওভারে ফরহাদ রেজার উপর চড়াও হয়েছিলেন ছক্কা নাইম এবং মিঠুন। তবে ওই ওভারের ১৬ রানেও কাজটা এগিয়ে রাখতে পারেনি রংপুর রাইডার্স। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ সামীর একটার পর একটা ইয়র্কার ডেলিভারীতে ৩’র বেশি রান খরচ না হওয়ায় শেষ ৬ বলে ২৫ রানের টার্গেট দূরুহ হয়ে গেছে রংপুরের। এই ম্যাচে রাজশাহী কিংস স্পিনার নাজমুল অপু করেছেন দারুণ বোলিং (২/১৯)। মিঠুনের ইনিংসটি মøান হলেও পর পর ৩টি নট আউট ইনিংসে (৪৫, ৪৯, ৬৪) বেড়েছে তার গড় (১২৩.৫০)।
৭ম ম্যাচে দ্বিতীয় হারে রংপুরের সংগ্রহ যথারীতি ১০ পয়েন্ট। অন্যদিকে ৭ম ম্যাচে তৃতীয় জয়ে শেষ চারের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছে রাজশাহী কিংস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।