গত ১ জুলাই থেকে সারা ভারতে সিঙ্গল ইউজ বা একবার ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ কারণে সাধারণের ব্যবহারের অনেক জিনিস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনেক কোম্পানি একক ব্যবহারের প্লাস্টিক নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত কিছু সময়ের জন্য স্থগিত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছিল। কিন্তু সরকার কারও কথা না শুনে ১ জুলাই থেকে সারা ভারতে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে। সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের মধ্যে এমন অনেক জিনিস ছিল, যেগুলোর ব্যবহার সাধারণের কাছে সাধারণ ছিল। এর মধ্যে একটি হল প্লাস্টিকের ছুরি।

প্লাস্টিকের ছুরি সাধারণত জন্মদিনে কেক কাটতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে এখন এর পরিবর্তে কাগজ বা কাঠের ছুরি ব্যবহার শুরু হবে। কারণ সরকার মোট ১৯টি প্লাস্টিকের জিনিস নিষিদ্ধ করেছে। ১ জুলাই থেকে এসব জিনিস তৈরি, বিক্রি, ব্যবহার, মজুত ও রফতানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ওই ধরনের প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসগুলো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য সরকার কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছে। অফিসারদের মতে, সব প্রস্তুতকারক, স্টক হোল্ডার, সরবরাহকারী এবং পরিবেশকদের কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এই ১৯টি জিনিসের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। কেউ নিয়ম ভঙ্গ করলে তার জন্য কঠোর শাস্তির বিধানও করা হয়েছে।

সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের নিষিদ্ধ জিনিসগুলো হচ্ছে- প্লাস্টিকের ক্যারি ব্যাগ, পলিথিন (৭৫ মাইক্রনের কম ঘনত্বসহ), প্লাস্টিকের লাঠি দেওয়া ইয়ার বাড, বেলুনের জন্য প্লাস্টিকের লাঠি, প্লাস্টিকের পতাকা, ক্যান্ডি স্টিক, আইসক্রিম স্টিক, থার্মোকল (পলিস্টাইরিন), প্লাস্টিকের কাপ, প্লাস্টিকের চশমা, কাঁটা চামচ, ছুরি, স্ট্র, ট্রে, প্যাকেজিং ফিল্ম, ইনভিটেশন কার্ড বা আমন্ত্রণপত্র, সিগারেটের প্যাকেট, প্লাস্টিক বা পিভিসি ব্যানার ১০০ মাইক্রনের কম, স্টিরার (যা দিয়ে কোনো কিছু নাড়ানো হয়)।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, যদি কাউকে সিঙ্গেল ইউজ বা একবার ব্যবহার করা যায় এমন প্লাস্টিক ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাহলে শাস্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে জেল এবং জরিমানা- দুটোই রয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষা আইনের (ইপিএ) ধারা ১৫-এর অধীনে ওই প্লাস্টিক ব্যবহারের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সূত্র : আল-জাজিরা।