শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
মুশফিক অবাক হয়ে যায় মিতার কথায়। বলে কী ? মিতা এখানে? তা কী করে সম্ভব! সে পিছনে তাকায়, দেখে ছাতিম গাছের একটি ডাল ধরে মিতা দাঁড়িয়ে। ‘মিতা, তুমি এত রাতে এখানে এলে কী করে এলে? ‘আমি কীভাবে এলাম, সেটা জেনে তোমার দরকার নেই। তবে একটি কথা মনে রেখো, আমার কাছে কোনো অসম্ভব বলে কিছু নেই’।আমি তোমার জন্য সব করতে পারি। মুশফিক যেন ভাষা হারিয়ে ফেলছিলো। মিতা কীভাবে এখানে এলো, সে চিন্তা যেন তার মাথা থেকে সরে গেলা। মিতা তার পাশে এসে বসলো। ‘তুমি এত দেরী করে এলে কেন মুশফিক? মিতা মুশফিককে জড়িয়ে ধরে। টেনে নেয় বুকের ভিতর। মুশফিকও তাকে জড়িয়ে ধরে। সারা রাত কথা হয় ওদের । একসময় মিতা বলে – মুশফিক আর আমি থাকতে পারেবোনা ।এখনই আমাকে যেতে হবে। মুশফিক যেন ঘোরের মধ্যে বলে-‘না তুমি যেওনা মিতা।আরেকটু থাকো। প্লিজ।’ ‘তুমি বুঝতে পারছো না কেন মুশফিক। আমার পক্ষে এখন আর থাকা সম্ভব নয়।মুশফিকের কপালে একটি চুমো দিয়ে দ্রুত হেঁটে দৃষ্টি সীমার বাইরে চলে যায় মিতা। এসময় মসজিদ থেকে ভোরের আযান ভেসে আসে। ভোরের আযান শোনার পর মুশফিক যেন সম্বিত ফিরে পায়।
মুশফিক ঘরে ফিরে এসে ছোফায় শরীর এলিয়ে দেয়। এবার তার মনে এই প্রশ্নটি আবারও ফিরে আসে- এত রাতে মিতা এখানে কি করে এলো? ও কি মিতাই ছিলো, না অন্য কেউ।
মুশফিক বিদেশে যাবার সময় বিমান বন্দরে বসে তার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। তাকে একটি নতুন মোবাইল কিনতে হয়। ফলে তার বন্ধুদের কোনো নাম্বারই তার কাছে ছিলনা। মিতার নাম্বারটি মুখস্ত থাকার কারণে ওই একটি নাম্বারই ছিল।যার কারেণে বন্ধুদের সাথে তার আর যোগযোগ করা সম্ভব হয়নি।
পুরোনো ডায়রি খুজে সেজানের নাম্বরটি পায়। সেজান ওর বন্ধু। এবং মিতাদের এলাকায় বাড়ি। ও মিতাকে চিনতো।মুশফিক সেজান কে ফোন করে। সেজান ঘুম জাড়ানো কণ্ঠে বলে – কে ? ‘ আমি মুশফিক।’ ‘মুশফিক তুই কোথায়।? ‘ আরে, আমি তো দেশে এসেছি গতকাল ।এখন বাড়িতে।’
‘তুই বিদেশে যেয়ে আমার সাথে যোগযোগ বন্ধ করে দিলি কেন?- সেজান বলে। আমার মোবাইলটি হারিয়ে গিয়ে ছিল। ফলে তোদের নাম্বারও। এ জন্য তোর সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি। ফেসবুকেও চেষ্টা করেছি কিন্তু তোর আইডি খুঁজে পাইনি।’
‘ আমার কোনো আইডি নেই তো, খুজে পাবি কী? ‘কেন?’ ‘একটি সম্যার কারণে আইডি বন্ধ করে দিয়েছি।’ সেজান বলে। ‘সেজান তুই একটু মিতাদের বাড়তে যেতে পারবি? ‘মিতা? – সেজান যেন আকাশ থেকে পড়ে। ‘কেন কি হয়েছে? –মুশফিক বলে।‘তুই বিদেশে যাবার একমাস পর মিতা তো সড়ক দুর্ঘটনায় মারাগেছে।’ ‘কী বলছিস?- মুশফিকের হাত থেকে মোবাইল ফোনটি নিচে পড়ে যায়। মুশফিকের যখন জ্ঞান ফেরে তখন রাত। দেখে সে হাসপাতালে। হঠাৎ তার ফোন বেজে ওঠে। মুশফিক তাকিয়ে দেখে স্ক্রিনে মিতার নাম ভেসে উঠছে। মিতা ইজ কলিং।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।