পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
বুধবার আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভ‚মিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে এক হাজার ছাড়িয়েছে। ভ‚মিকম্পের মতো ভয়াবহ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে বন্যার কবলে পড়েছে আফগানিস্তানের মানুষ। আন্তর্জাতিক সহায়তার আহবান জানিয়েছে তালেবান সরকার। মতভেদ ভুলে গিয়ে মানবতার জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ জানিয়েছে, আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের ১৮টিতেই দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা। এ বন্যায় সে দেশে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়। আফগানিস্তানের বন্যাকবলিত প্রদেশগুলো হলো- কুনার, নানগারহার, নুরিস্তান, লাঘমান, পানশির, পারওয়ান, কাবুল, কাপিসা, ময়দান ওয়ার্দাক, বামিয়ান, গজনি, লোগার, সামানগান, সার-ই-পুল, তাখার, পাকতিয়া ও দাইকুন্দি। কুন্দুজের অধিবাসী আহমাদুল্লাহ তোলো নিউজকে বলেন, কুন্দুজের শত শত একর জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এবং এখনও বন্যা পরিস্থিতির দৃশ্যমান কোনো উন্নতি হয়নি। নানগারহার প্রদেশের আর্চিন জেলার বাসিন্দা হামিদুল্লাহ শিনওয়ারি বলেন, গত মঙ্গলবার রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হছে। অতি বর্ষণে বাড়ির ছাদ ধসে আর্চিন জেলায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। আফগানিস্তানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাওলাউই শরফুদ্দিন মুসলিম টোলো নিউজকে বলেন, অতি বর্ষণ ও আকস্মিক বন্যায় আহতদের বেশির ভাগকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্যার কারণে যাদের ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে তাঁবু দেওয়া হয়েছে। এর আগে আফগানিস্তানে ভ‚মিকম্পে প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের অভাব ধ্বংসস্ত‚প থেকে জীবিতদের উদ্ধারকাজ বাধাগ্রস্ত হছে। বুধবার জাতিসংঘের এক দূতের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। খবের বলা হয়, এই ভ‚মিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা বিষয়ক সমন্বয়ক রমিজ আলাকবারভ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ধারণা, সেখানে প্রায় ২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ভ‚মিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকটিকা প্রদেশের দুটি জেলায়। ভ‚মিকম্প আর ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে তালিবান শাসিত আফগানিস্তানের নেতা হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদা বলেন, অজস্র বাড়ি ভেঙে গেছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বুধবার ভোরে আফগানিস্তানে ৬.১ মাত্রার শক্তিশালী ভ‚মিকম্প আঘাত হানে। দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, ঘরবাড়ির মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আর মাটিতে শুইয়ে রাখা মরদেহ সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সালাহউদ্দিন আইয়ুবি বলেন, আহতদের কাছে পৌঁছানোর জন্য এবং চিকিৎসা সরবরাহ ও খাবার নিয়ে যাওয়ার জন্য উদ্ধার প্রচেষ্টায় হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। টোলো নিউজ, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।