মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতে যখন ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস (এনআরসি) বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জির প্রক্রিয়া চলমান তখন আসামের কংগ্রেস দলীয় বিধায়ক (বর্তমানে পদ স্থগিত) শেরমান আলী আহমেদ বলেছেন, আসাম রাজ্যে কোন অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমান নেই। শুধু তাই নয়, আসামে বসবাসরত অবৈধ বাংলাদেশি মুসলমানদের নিয়ে যেসব পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলোও কাল্পনিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত। অবৈধ বাসিন্দাদের সংখ্যা কয়েকশো হতে পারে, কোনভাবেই সেটা লাখ বা হাজারের ঘরে নয়। অন্যদিকে ভারতে মুসলমানের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে কমে যাচ্ছে।
ভারতীয় বার্তাসংস্থা ‘এএনআই’ এর বরাতে দেশটির অন্যতম প্রধান ডিজিটাল সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ এর এক প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শেরমান আলী প্রশ্ন তোলেছেন, যদি আসামে সত্যিই বিপুল সংখ্যক অবৈধ বাংলাদেশি বাসিন্দা থেকে থাকে তবে কেন তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি? সরকার এখনও কেন বাংলাদেশের সাথে কোন প্রত্যর্পণ চুক্তিতে সই করতে পারেনি? বাংলাদেশ যেহেতু ছোট দেশ, সুতরাং এতে এটাই প্রমাণিত হয় যে তারা এসব দাবি করছে শুধুই রাজনীতি করার জন্য।
আসামের-ই সন্তান সাবেক সিজেআই (ভারতের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি) রঞ্জন গগৈ এর অধীনে সুপ্রিম কোর্টের কঠোর তত্ত্বাবধানে এনআরসি করা হচ্ছে স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেরমান আলী বলেন, এনআরসিতে অসঙ্গতি রয়েছে এমন অভিযোগ দায়ের করে, এনআরসি’র রাজ্য সমন্বয়কারী হিতেশ দেব শর্মা কার্যত সুপ্রিম কোর্টকে অমান্য করেছেন এবং সেটা আদালত অবমাননার শামিল। এনআরসি প্রস্তুতি নিয়ে পুনর্বিবেচনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। হিতেশ দেব শর্মা ছোট্ট একটা প্রাণী। তিনি সুপ্রিম কোর্টের উপরে কথা বলতে পারেন না। আসাম সরকারও পারে না। এনআরসি ভালো না লাগলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে এই সমস্যা চিরদিনের জন্য নিষ্পত্তি করে ফেলুন।
বিজেপি এই ইস্যুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে চায় মন্তব্য করে শেরমান আলী বলেন, ১৯৭৫ সালের পর প্রায় ৪৫ বছর কেটে গেছে। এই সময়ের মধ্যে ভোটার তালিকা ৪ বার সংশোধন করা হয়েছে এবং বিদেশি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু মানুষ এখনও তা সংশোধনের দাবি করছে। ১৯৫১ সাল থেকে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা কমছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলমানরা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে কেবল অমুসলিমরাই এখানে এসেছে। যদি সেরকম কেউ থেকেও থাকে, সেক্ষেত্রে সরকার (তাদের বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।