নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খুলনা টাইটান্স : ১২৫/৭ (২০.০ ওভারে)
রংপুর রাইডার্স : ১২৯/৩ (১৯.০ ওভারে)
ফল : রংপুর রাইডার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
৪৪ রানে অল আউটের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে বেরিয়ে কি দারুণভাবেই না বিপিএলে ফিরে এসেছিল খুলনা টাইটান্স। বোলিং নির্ভরতায় টানা ৪ জয়ে ৬ ম্যাচ শেষে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে ওঠা সেই দলটিই কিনা জুজু’র ভয়ে হলো ভীতসন্ত্রস্ত। ১২ দিন আগে যে দলটির কাছে পেয়েছে ৪৪ রানে অল আউটের লজ্জা, ৯ উইকেটে হেরে যাওয়া সেই দুঃসহ অতীতই গতকাল পেয়েছে ফিরে। গত পরশু প্রথমে ব্যাট করে ১৮১,১৮২ স্কোর হতে পারেনি নিরাপদ, ব্যাটিং ফ্রেন্ডলী সেই পিচেই ১২৫/৭ স্কোর পুঁজিকে জয়ে পরিণত করা ঠিক যেনো দিবা-স্বপ্নের মতোই। বোলিং নির্ভরতায় হাসতে হাসতে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেই রংপুর রাইডার্সের কাছে আর একবার অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হলো খুলনা টাইটান্সকে!
রংপুর রাইডার্সের স্পিন ত্রয়ী দিচ্ছে নির্ভরতাÑ গতকালও তার ব্যতিক্রম কিছু হয়নি। বাঁ-হাতি স্পিনার আরাফাত সানি প্রথম স্পেলেই (৩-০-১২-২) দিয়েছেন ধাক্কা, শেষ স্পেলে আরো ভীতিকর (১-০-৪-০)! ২৪টি ডেলিভারির মধ্যে ১১টিই করেছেন ডট! তার এমন বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে পিছিয়ে পড়েছে খুলনা টাইটান্স। শেষ ওভারে আরিফুলের হাতে ২টি ছক্কা খেলেও ইনিংসের মাঝপথে খুলনা টাইটান্সকে বেঁধে রাখার কাজটা ভালোই পালন করেছেন লেগ স্পিনার আফ্রিদি (৪-০-৩০-২)। অফ স্পিনার সোহাগ গাজী ২ ওভারে খরচা করেছেন মাত্র ৬ রান। পেস বোলার রুবেলও এদিন দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন (৪-০-১৯-২) স্পিন ত্রয়ীকে। ১২০টি বলে ৫২টি ডট, এখানেই এগিয়ে গেছে রংপুর। ডসনকে ১৯তম ওভারে ২ ছক্কা, ১ চারে ১৯ রান এবং আফ্রিদির শেষ ওভারে ১৬ রান খরচা না করলে আরো বড় দুঃসহ পরিস্থিতিতে যে পড়তে হতো খুলনাকে।
প্রথমে ব্যাট করে ১২৭/৭ স্কোরকে জয়ে পরিণত করার অতীত এবার আছে খুলনা টাইটান্সের। তবে লো স্কোরিং ম্যাচে গতকাল সেই সমন্বিত বোলিংয়ে দেখা যায়নি খুলনা টাইটান্সকে। মাহামুদুল্লাহ (৩-০-১৪-১) ছাড়া অন্য কেউ রংপুরকে আঁতকে দিতে পারেনি। জুনায়েদের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে সৌম্য (৩) ফিরে যাওয়ার পর সেই চেনা শাহাজাদ এবং মিঠুন যথারীতি হাল ধরেছেন রংপুর রাইডার্সের। রিয়াদের বলে লং অনে ক্যাচ দিয়ে আসার আগে শাহাজাদ করেছেন ৩৭। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭৪ রানে রংপুরকে দিয়েছেন এগিয়ে। অবশিষ্ট দায়িত্বটা পালন করেছেন মিঠুন (৪১ বলে ৩ ছক্কা ১ চার এ ৪৯ নট আউট)। টানা ২য় ফিফটি থেকে বঞ্চিত করেছেন তাকে পার্টনার ব্যাটসম্যান লিয়াম ডসন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে মাহামুদুল্লাকে থার্ডম্যানে বাউন্ডারিতে উইনিং শটে লোভ সম্বরণ করতে পারেননি তিনি। জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে যখন রংপুর রাইডার্স, তখন বেনি হাওয়েলকে সুইপ করতে যেয়ে আফ্রিদি হয়েছেন বোল্ড (২০ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৬)।
৬ ম্যাচে ৫ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রংপুর রাইডার্স। সেখানে ৭ ম্যাচে দ্বিতীয় হারে সমসংখ্যক ১০ পয়েন্ট পেয়েও খুলনা টাইটান্স নেমে গেছে দ্বিতীয় স্থানেÑ নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকার কারণেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।