ইবি ভিসির অফিসে তালা, অডিও ক্লিপ বাজিয়ে আন্দোলন
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালামের অডিও ফাঁসের ঘটনায় তৃতীয় দিনেও ভিসি
চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহায়তায় বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছেন তারা।
আজ শুক্রবার (১০জুন) ঢাকাসহ বিভাগীয় সাত শহরের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে চলছে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত 'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা। পরীক্ষা উপলক্ষে সকাল থেকে ঢাবি ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সার্বিক সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিট।
সরেজমিনে দেখা যায়, দূর-দুরান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তা করে যাচ্ছেন ছাত্রলীগের এসব নেতাকর্মী। পরীক্ষা দিতে আগত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে মুহসীন হল ছাত্রলীগ। যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষার হল দূরে তাদের জন্য জয় বাংলা বাইক সার্ভিস, পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে পানি, মাস্ক, হালকা নাস্তা ও কলম সরবরাহ ছিল তাদের কর্মসূচির অংশ।
ছাত্রলীগের এমন কর্মপ্রয়াসের ভুয়সী প্রশংসা করেছেন শিক্ষার্থী - অভিভাবকবৃন্দ। শাহ আলম নামে এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী বলেন, এই ক্যাম্পাসে নূতন যে কেউ একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় যেতে ৩০ মিনিটের জায়গায় অন্তত ৫০ মিনিট লাগাবে। কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সহায়তায় খুব দ্রুতই পরীক্ষা কেন্দ্র খুঁজে পেতে সহজ হয়। আবার অনেক সময় অনেক শিক্ষার্থী ভুল করে কলম, কিংবা পরীক্ষার যাবতীয় জিনিস আনতে ভুলে যায়। সেক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের এসব সরবরাহ কাজে দেয়।
শাহজাহান নামের একজন অভিভাবক বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুধু মারামারি করে জানতাম। সেই ভয়ও ছিল মনে। মেয়েকে নিয়ে এসেছি পরীক্ষা দিবে বলে। কিন্তু এখানে এসে বিপরীতে ছাত্রলীগেরই সহায়তা পেয়েছি। মুহসীন হলের মূল গেইট দিয়ে ঢোকার পথেই ছিল ছাত্রলীগের এফ রহমান হলের নেতাকর্মীরা। তাদের সহায়তায় পরীক্ষার হলে পৌঁছে দিয়েছি মেয়েকে। ভাবলাম দীর্ঘ সময় মেয়ের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকব কিন্তু সেটাও করা লাগছে না। এই তো বসে আছি চেয়ারে! এটাও (অভিভাবকদের জন্য বসার ছাউনি) নাকি তাঁরাই করে দিয়েছে।
জানতে চাইলে মুহসীন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু বন্ধুদের সহায়তায় বরাবরের মতোই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় শিক্ষার্থী বন্ধু ও অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে আমরা সহায়তা করে থাকি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকাল থেকেই পরীক্ষার্থী বন্ধুদের পরীক্ষার হলে সিটের নির্দেশনা, কলম,পানি ও অভিভাবকদের বসার ব্যাবস্থা করেছি আমরা মুহসীন হল ছাত্রলীগ। যতদিন পরীক্ষা চলবে ততদিন আমাদের এই কর্মপ্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
ছাত্রলীগের একই ইউনিটের সভাপতি শহিদুল হক শিশির বলেন, কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের বিভিন্নভাবে সেবা দিয়ে আসছে। কলম, সুপেয় পানি, মেডিক্যাল ক্যাম্প, পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে সাহায্য করা, 'জয় বাংলা বাইক সার্ভিস'-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়াসহ এমন আরও কিছু সেবামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সুনাম কুড়িয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও নবীন শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাম্পাসে একটি সুন্দর ও নিরাপদ পরীক্ষাবান্ধব পরিবেশ উপহার দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণই আমাদের লক্ষ্য, সেই লক্ষ্য সামনে রেখে ভবিষ্যতেও আমাদের এমন সেবামূলক কাজ অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।