নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৮২/৪ (২০.০ ওভারে)
রাজশাহী কিংস : ১৮৪/৭ (১৯.৫ ওভারে)
ফল : রাজশাহী কিংস ৩ উইকেটে জয়ী।
দলটির গায়ে চোকার্স অপবাদটি লেগে গেছে বলে শেষ ১২ বলে ১২ রানকেও এক পর্যায়ে সহজ মনে হয়নি। সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে শেষ ওভার থ্রিলারে ম্যাচ হেরে যাওয়ার অতীত আছে রাজশাহী কিংসের। সেই নিকট অতীতের ছবিটাই যেন আতঙ্কিত করেছে ড্যারেন স্যামীর দলকে কিছুক্ষণ। বলপ্রতি এক রান, যাদের সামনে লক্ষ্যটা এমন, সেই দলটির অধিনায়ক কেন ডুয়াইন ব্রাভোকে ক্রস খেলতে যাবেন, কেনই বা বোল্ড আউট হবেন? শেষ ৬ বলে ৯ রানের লক্ষ্যটাও কঠিন মনে হচ্ছিল, কোলসের প্রথম বলে লং অফে আবুল হাসান রাজু ক্যাচ দিয়ে বিপদেই ফেলে
দিয়েছিলেন রাজশাহী কিংসকে। তবে ওই ওভারের তৃতীয় বলে ফরহাদ রেজার বাউন্ডারিতে ফিরে পাওয়া স্বস্তিকে উৎসবমুখর করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজÑ ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বুলেট গতির বাউন্ডারিতে ১ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটে জিতে উৎসবে ফেটে পড়ল রাজশাহী কিংস। আসরে জয় মাত্র ২টি রাজশাহী কিংসেরÑ এই দু’টি জয়ই ঢাকার বিপক্ষে! জানেন, দু’টি জয়েই ম্যাচ সেরা ইংল্যান্ড ক্রিকেটার সামিট প্যাটেল। চলমান আসরে সর্বোচ্চ স্কোর তাড়া করে (১৮৩) রাজশাহী কিংসের জয়, ৩৬৬ রানের ম্যাচটি যে প্রকৃত অর্থে ব্যাটিং বিনোদন পিপাসুদের পিপাসা মিটিয়েছে!
আসলেই দল দু’টির মধ্যে ব্যবধান তৈরি করেছেন সামিট প্যাটেলই। ১০ দিন আগে মিরপুরে ঢাকার ১৩৮/৫ স্কোরের জবাব দিয়েছে রাজশাহী কিংস প্যাটেলের ২৫ বলে হার না মানা ৪৫ রানে। গতকাল সাঙ্গাকারার ফিফটি (৪৬ বলে ৬৬) এবং শেষ ৩০ বলে ৬০ রানে ঢাকা ডায়নামাইটসের ১৮২/৪ স্কোরকে যথেস্টই মনে হয়েছে। জবাব দিতে এসে ইনিংসের চতুর্থ ওভারে শহীদের বলে ছক্কার শট নিয়ে শরীরের ভারসাম্য রেখে ডিপ মিড উইকেটে বাউন্ডারি রোপের পাঁচ-ছয় ইঞ্চি সামনে থেকে নাসিরের বিশ্বমানের ডাইভিং ক্যাচে সাব্বির ফিরে আসায় রনে-ভঙ্গ দেয়ার দূর্ভাবনাই বাসা বেধেছে রাজশাহী কিংসের। তবে সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচে রাজশাহীকে ফিরিয়েছেন মুমিনুল-সামিট প্যাটেল জুটি। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কাঁটায় কাঁটায় ১০০ রান যোগ করেছেন তারা মাত্র ৬৩ বলে। শহীদকে লং অফের উপর দিয়ে ছক্কা মারতে যেয়ে মুমিনুল ফিরে আসার আগে আসরে নিজের তৃতীয় ফিফটি উদযাপন করেছেন (৪২ বলে ৫৬)।
প্যাটেলের ভূমিকা ছিল এক কথায় অসাধারণ। নাসিরকে পর পর ২ বলে বাউন্ডারি দিয়ে শুরু করা ইনিংসে কোলসের স্লোয়ারে বাউন্ডারির শটে টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ১৭৪তম ম্যাচে ২২তম ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাত্র ২৬ বলে! ইংলিশ পেস বোলার ম্যাট কোলসের উপর একটু বেশিই চড়াও হয়েছেন সামিট প্যাটেল। তার এক ওভারে এক ছক্কা,৩ বাউন্ডারিতে ২০ রানে স্লগের আগেই দলকে চাপমুক্ত করেছেন সামিট প্যাটেল। অবশিষ্ট কাজটা করেছেন সাকিবের এক ওভারে ২টি ছক্কায়। যার মধ্যে প্রথম ছক্কাটি আছড়ে পড়েছে গ্যালারিতে! সাকিবের ওই ওভারে একটি লো বাউন্সি ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে এসেছেন সামিট প্যাটেল (৩৯ বলে ৫ চার ৬ ছক্কায় ৭৫)। তবে নিরাপদে দলকে রেখেই এসেছেন ফিরে। তারপরও প্যাটেল ফিরে যাওয়ার পর ২৫ বলে ২৯ রানের টার্গেটÑ ৬ উইকেট হাতে থেকে নাটকের শেষ অংশটা উঠেছিল জমে। জমিয়ে দিয়েছিলেন উত্তেজনা ঢাকা ডায়নামাইটসের ক্যারিবিয়ান পেসার ডুয়াইন ব্রাভো (৩/৩৫)। তবে সামিট প্যাটেলের ব্যাটিং ঝড় ম্লান হতে দেননি মিরাজ। উইনিং শট নিয়েই ফিরেছেন টেস্টে বাংলাদেশের বড় জয়ের নায়ক। ৭ম ম্যাচে এটি ঢাকার তৃতীয় হার, অন্যদিকে ৬ ম্যাচে ২ জয়ের দু’টিই ঢাকার বিপক্ষে অর্জিত হলো রাজশাহীর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।