নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খুলনা টাইটান্স : ১৫১/৭( ২০.০ ওভারে)
বরিশাল বুলস : ১২৯/১০(২০.০ ওভারে)
ফল : খুলনা টাইটান্স ২২ রানে জয়ী।
দলে বিকল্প বোলারের সংখ্যা নেই বললেই চলে, ঘুরে ফিরে বোলার সংখ্যা ৫ জন। অথচ এই বোলিংয়েই নির্ভরতা, বোলিংয়েই হাসছে খুলনা টাইটান্স। শেষ ওভার থ্রিলারে ৩টি ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের পারদটা এতোই উচুঁতে পৌঁছেছে, যে প্রথমে ব্যাট করে মোটামুটি স্কোরই দলটির জন্য নিরাপদ। আসরের শুরু থেকেই তা বার বার জানিয়ে দিচ্ছে মাহামুদুল্লাহর দলটি। চট্টগ্রামের ফ্লাট উইকেটে প্রথমে ব্যাট করে ১৫১/৭ স্কোর খুলনা টাইটান্সের জন্য নিরাপদ নয়, তা ধরে নিয়ে বড়ই ভুল করে ফেলেছে বরিশাল বুলস। টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে শফিউলের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে (৪/১৭) ২২ রানের জয়ে পয়েন্ট তালিকায় সবার উপরে উঠে এলো খুলনা টাইটান্স।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’টা ভাল হয়নি (২৬/২)। তবে রিয়াদ এসেই দলের দুরাবস্থা দূর করেছেন। পেসার আবু হায়দার রনিকে পুল শটে রিয়াদের ছক্কাটি গ্যালারির ওপরে আছড়ে পড়ায় বড় স্কোরের পূর্বাভাস দিয়েছে খুলনা টাইটান্স। ৩য় উইকেট জুটিতে রিকি ওয়েসেল-মাহামুদুল্লাহ’র ৩৭ বলে ৫৩ রানের পার্টনারশিপেই দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখেছে খুলনা টাইটান্স। তাইজুলের বলে মিড উইকেটে মাহামুদুল্লাহ (২৬ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪৪) এবং এমরিতের বলে রিকি ওয়েসেলস (২৯ বলে ৪ চার ১ ছক্কায় ৪০) বোল্ড আউটে ফিরে গেলেও দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি খুলনাকে। এই জুটির ছন্দময় ব্যাটিং থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে শেষ ৩০ বলে ৩৯ রানে স্কোরটা নিয়ে যেতে পেরেছে খুলনা ১৫১/৭এ।
দারুন বোলিং করেছেন বরিশালের বা-হাতি স্পিনার তাইজুল। প্রথম স্পেলে ফ্লেচার এবং হাসানুজ্জামানকে শিকারে তাইজুল এদিন টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে করেছেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং (৩/১৮)Ñ২৪ বলের ১৪টিই তার ডট। তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ছাপিয়ে এদিন হিরো খুলনা টাইটান্স পেসার শফিউল। ৮ দিন আগে চিটাগাং ভাইকিংসের বিপক্ষে টুয়েন্টি-২০ ক্রিকেটে প্রথম ৪ উইকেটের (৪/২৮) মুখ দেখেছিলেন শফিউল। গতকাল সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে করেছেন সেরা বোলিং (৪/১৭)! প্রথম স্পেলে (২-০-৯-১) জীবন মেন্ডিজের ঝড় (১৬ বলে ২১) থামিয়েছেন তিনি মিড অনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করে। দ্বিতীয় স্পেলে ( ১-০-৬-১) বরিশালের প্রধান ভরসা মুশফিকুর (২৩ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ৩৫) কে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে আসতে বাধ্য করেছেন। ৩ বলের শেষ স্পেলে ( ০.৩-০-২-২) লেজ কেটে দিয়েছেন বরিশালের। শফিউলের এমন বোলিংয়ের পাশে চেনা জুনায়েদ খান (২/২৯), মোশারফ রুবেল (২/২৪), কেভন কুপার ( ১/৩০), সঙ্গে দলকে সামনে থেকে বোলিংয়েও নেতৃত্ব দেয়া মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (১/২৮)। তাতেই হেসেছে খুলনা টাইটান্স।
খুলনার ৫টি জয়ের ৩টিতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ মাহামুদুল্লাহ। ৬ষ্ঠ ম্যাচে ৫ম জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় এককভাবে শীর্ষে উঠেছে তার দল। যেখানে ৬ষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় হারে বরিশাল বুলসকে সমীকরণ মেলানোর পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।