নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
খুলনা টাইটান্স : ১৫৭/৫ (২০.০ ওভারে)
ঢাকা ডায়নামাইটস : ১৪৮/১০ (১৯.১ ওভারে)
ফল : খুলনা টাইটান্স ৯ রানে জয়ী।
শেষ ওভারে বল হাতে নিয়ে প্রতিপক্ষের পিলে চমকে দিবে খুলনা টাইটান্স, এটাই যেনো দলটির বৈশিষ্ঠ্য হয়ে গেছে। বিপিএলের চলমান আসরে শেষ ওভার থ্রিলারে চেনা মুখ মাহামুদুল্লাহ গতকাল বল হাতে নেননি,তাতেও ব্যতিক্রম কিছু দেখেনি দর্শক। স্লগে এসে শ্রীলংকান টেল এন্ডার সেকুগে প্রসন্ন খুলনা বোলারদের উপর চালিয়েছিলেন চাবুক, ১৮ বলে ফিফটি উদযাপনে বিপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম এবং চলমান আসরে দ্রুততম অর্ধশত করেও শেষ ওভারে খুলনা টাইটান্সের কৌশলে মেনেছেন হার। ৬ বলে ১০ রানের টার্গেট পাড়ি দিতে পারেনি ঢাকা ডায়নামাইটস। শেষ ওভারের প্রথম বলে কেভন কুপারকে ছক্কা মারতে যেয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়ে থেমেছেন নিজে(৫৩),থামিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের স্পন্দন ! ১৫৭/৫ পুঁজি নিয়ে বোলিং নির্ভরতায় ৯ রানে জিতে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা টাইটান্স। সাকিবের ৪র্থ বলে ফ্লেচারের কলে সিঙ্গল নিতে যেয়ে ওপেনার হাসানুজ্জামান রান আউটে কাঁটা পড়ার পরও দুশ্চিন্তায় পড়েনি খুলনা টাইটান্স। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারকে ঠিকই কাজে লাগাতে পেরেছে খুলনা টাইটান্স ( ৪৬/২)। এই পাওয়ার প্লে’তেই ব্যবধান নির্নীত হয়েছে দু’দলের। যে পর্বে কেভন কুপার,জুনায়েদ খানের বোলিংয়ে ঢাকা ডায়নামাইটসের স্কোর ৩০/৪ ! স্লগের ৫ ওভারকেও কাজে লাগিয়েছে খুলনা,যোগ করেছে ৪৮ রান। ব্যাটসম্যান পরিচয় ছেড়ে প্রথম ৪ ম্যাচে মাহামুদুল্লাহ’র বড় পরিচয় হয়ে উঠেছিল ডেথ ওভারের বোলার। ৫ম ম্যাচে এসে আসরে নিজের প্রথম ফিফটির মুখ দেখেছেন। ৩৯ বলে ২ চার ৪ ছক্কায় টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে ৬ষ্ঠ ফিফটি উদযাপনের দিনে আসলেই সামনে থেকে ব্যাটিংয়ে দিয়েছেন নেতৃত্ব সাকিব। তাইবুরের সঙ্গে ৫ম জুটিতে ৩৬ বলে ৫৭ রানে নেতৃত্বটা মাহামুদুল্লাহ’রই। ৪৪ বলে ৪ ছক্কা,৪ বাউন্ডারিতে ৬২, বিপিএলে নিজের সেরা এই ইনিংসে দলের স্কোর ১৫৭/৫ দেখেই জয়ের আবহ পেয়েছেন খুলনা টাইটান্স অধিনায়ক।
ঢাকা ডায়নামাইটসের ইনিংসের শুরুতে ঝড় বইয়ে দেন মেহেদী মারুফ। কেভন কুপারের স্লোয়ারে ইনিংসের ৪র্থ বলে সেই মারুফ ফ্লিক করতে যেয়ে এলবিডাব্লুতে ফিরে গেলেই বড় ধাক্কা পায় ঢাকা ডায়নামাইটস। জুনায়েদের দ্বিতীয় ওভারে মিড অনে সাঙ্গাকারা ক্যাচ তুলে দিলে ব্যাটিং ফ্রেন্ডলী উইকেটেও দূরুহ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় ঢাকা ডায়নামাইটসকে। সেখান থেকে ঢাকাকে টেনে তুলতে চেস্টা করেছেন মোসাদ্দেকÑশুভাগতহোমের এক ওভারে ২টি ছক্কা এবং আরিফুলকে পর পর ২ বলে ২টি বাউন্ডারিতে ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা দেখেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। তবে বাঁ হাতি স্পিনার মোশারফ রুবেলের প্রথম ওভারে সাকিব বোল্ড আউটে কাটা পড়লে (৮) বড় ব্যবধানে হারের শঙ্কাই করতে হয়েছে ঢাকাকে। শেষ ৩০ বলে ৬৪ রানের দূরুহ লক্ষ্য তাড়া করে ঝুঁকি নিয়েছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের লংকান রিক্রুট সেকুগে প্রসন্ন। ১৬তম ওভারে উইন্ডিজ পেসার কেভন কুপারকে ৩ ছক্কায় মাতিয়েছেন গ্যালারি,পরের ওভারে শফিউলকে এক ছক্কা! শেষ ১৮ বলে টার্গেট যখন ৩২,তখন ১৮তম ওভারে মোশারফ রুবেলকে দু’দুটি ছক্কায় পেয়েছেন হাততালি। লং অফে ছক্কার চুমোয় টুয়েন্টি-২০ ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ফিফটি উদযাপনে লেগেছে মাত্র ১৮ বল। ১২ বলে যুবরাজ সিং এবং গেইলের ফিফটি এখনো টুয়েন্টিতে দ্রুততম। ২০১২ সালে বিপিএলের অভিষেকে দূরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে বরিশাল বার্নার্সের আহমেদ শেহজাদের ১৬ বলে ফিফটি এখনো বিপিএলে দ্বিতীয় দ্রুততম। তার পেছনে জায়গা পেলো সেকুগে প্রসন্নের ১৮ বলে ফিফটিটি। যে ইনিংসে বাউন্ডারিহীন ৭টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তবে ম্লান হয়েছে তার এই ফিফটি। ইনিংসের মাঝপথে মার খেয়ে সøগে খুলনা টাইটান্সকে আশ্বস্ত করেছেন বাঁ হাতি স্পিনার মোশারফ রুবেল (৩/৩৫) এবং পেস বোলার কেভন কুপার (৩/৩১)। এই দুই অভিজ্ঞ বোলারের কাছেই হেরেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। চট্টগ্রামে এসে ৫ দিনের বিরতিতে হিসেব করে খেলার উপায় পেয়েছে খুলনা টাইটান্সÑতাতেই ৫ম ম্যাচে ৪র্থ জয়ে পয়েন্ট তালিকায় উপরে উঠে এলো মাহামুদুল্লাহ’র দল। যেখানে ৬ষ্ঠ ম্যাচে ২য় হারের স্বাদ পেলো ঢাকা ডায়নামাইটস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।