গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এসব কর্মসূচির মধ্যে আছে, মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, সেমিনার, আলোকচিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজকে এই মহান নেতা, মহান পথ প্রদর্শক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্য আমরা আগামী ২৯ মে থেকে ৭ জুন পর্যন্ত ১০দিনের কর্মসূচি গ্রহন করেছি।এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আলোচনা সভা, সেমিনার, জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা। প্রত্যেকটি অঙ্গসংগঠন আলাদা আলাদা করে কর্মসূচি করবে। যেমন যুব দল। যুব দল গঠনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কী ভূমিকা ছিলো, যুব সমাজের উন্নয়নে তিনি কি কি কাজ করেছেন তার দর্শনটা কী ছিলো সেগুলোকে ফোকাস করে সেই আলোচনা করবে। একইভাবে স্বেচ্ছাসেবক দল, মুক্তিযোদ্ধা দল, শ্রমিক দল, তাঁতী, মৎস্যজীবী দল, কৃষক দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন তাদের কর্মসূচিগুলো করবে।
জিয়াউর রহমান শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ৩০ মে ঢাকা মহানগর এবং একইভাবে সারাদেশে জেলা পর্যায় ত্রাণ বিতরণের কর্মসূচি থাকবে বলে জানান তিনি। এসব কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় নেতারা যাবেন।
বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সভাপতিত্বে যৌথ সভায় বিএনপির রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল ইসলাম, রফিকুল আলম মজনু, যুব দলের সাইফুল আলম নিরবম সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু,কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাদের ওপর সরকারি দলের হামলার প্রতিবাদে আগামী ১২ ও ১৪ মে দুইদিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথ সভা শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘‘ গত কয়েকদিন ধরে আপনারা লক্ষ্য করেছে সারা দেশে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ থেকে শুরু করে অন্যান্য বিরোধী দলের নেতাদের ওপর আক্রমন চালিয়ে সারাদেশে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। কুমিল্লার দাউদকান্দিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ওপর হামলা ও তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আক্রমন এবং পরবর্তিতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
‘‘ একই সঙ্গে কুমিল্লার চান্দিনায় এলডিপি মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী রেদোয়ান আহমেদের গাড়িতে হামলা ও তাকে গ্রেপ্তার, ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অধ্যাপক জয়নাল আবেদীনের ওপর হামলা, পটুয়াখালীর সদস্য সচিব শিদাংশু সরকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়াসহ সাতক্ষীরা, নারায়নগঞ্জ, পটুয়াখালীর নেতাদের ওপর হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আমরা এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসব সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে আগামী ১২ মে ঢাকা মহানগরে এবং ১৪ মে সারাদেশে জেলা পর্যায় বিক্ষোভ সমাবেশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।”
এর আগে নয়া পল্টনে বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে যৌথ সভা হয়। এতে বিএনপির রুহুল কবির রিজভী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল,খায়রুল কবির খোকন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, এবিএম মোশাররফ হোসেন, তাইফুল ইসলাম টিপু, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, মহানগর বিএনপির আমিনুল ইসলাম, যুব দলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেন, মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাইদ আহমেদ খান, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, মতস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, জাসাসের লিয়াকত আলী, জাকির হোসেন রোকন, উলামা দলের মাওলানা ছাত্র দলের কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাইফ মাহমুদ জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।