মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অফিসে টানা কাজ করলে ক্লান্তি চলে আসে। এ অবস্থায় অফিসে যদি কাজের ফাঁকে একটু ঘুমিয়ে নেওয়া যেত তাহলে মন্দ হতো না!
কিন্তু, এমন সুযোগ কে দেবে? অফিসে কাজের জন্য বেতন দেওয়া হয়, ঘুমের জন্য নয়। তবে, অবাক করা বিষয় হলেও সত্য অফিসে ঘুমের জন্য সময় দেওয়া হচ্ছে, দেওয়া হবে বেতনও। এমনটাই জানিয়েছে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি কোম্পানি।
ব্যাঙ্গালুরুর এ অফিসে প্রতিদিন ৩০ মিনিট ঘুম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে সব কর্মীর জন্য। এ বিষয়ে প্রত্যেক কর্মীকে ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিশ জারি করা হয়েছে। সবাইকে আধঘণ্টা অফিসে ঘুমাতেই হবে। সে ঘুমানোর জন্য টাকাও পাবেন কর্মীরা।
‘ওয়েকফিট সলিউশন’-এর কো-ফাউন্ডার চৈতন্য রামালিঙ্গেগোয়া অফিসিয়ালি ই-মেইলের মাধ্যমে এ নোটিশ জারি করেছেন তাঁর অফিসে। ই-মেইলে মহাকাশ গবেষণা নাসা ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে চৈতন্য রামালিঙ্গেগোয়া বলেন, ঘুম কর্মক্ষমতা উন্নত করে ও শারীরিক দুর্বলতা দূর করে।
এ সংক্রান্ত একটি টুইটও করা হয়েছে ওয়েকফিট’র অফিসিয়াল পেজ থেকে। সেখানে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সব কর্মীকে ঘুমানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সময় কোনো কাজ করা যাবে না।
ওয়েকফিট আরও জানিয়েছে, কর্মীদের আরামদায়ক ঘুমের পরিবেশ নিশ্চিত করতে অফিসের ভেতরেই ‘কোজি ন্যাপ পড’ ও ‘নীরব কক্ষ’ তৈরি করবে কর্তৃপক্ষ।
ই-মেইলে চৈতন্য লেখেন, ‘আমরা দীর্ঘ ছয় বছর ধরে মানুষের ঘুমের সামগ্রী বিক্রি করে ব্যবসা করছি। অথচ নিজেরাই ঘুমের সঙ্গে সঠিক বিচার করতে পারছি না। সবার একটু বিশ্রাম দরকার। সে কথা ভেবেই আফটারনুন ন্যাপ চালু করার কথা অনেকদিন ধরেই চলছিল। এবার বিষয়টাকে সিরিয়াসলি নিতে হবে। আজ থেকেই কম করে ৩০ মিনিটের ঘুম বা ন্যাপ নিতে হবে সবাইকে। কাজের মধ্যে একটু ঘুম দরকার। এতে শরীর মন ভালো থাকবে। কাজ ভালো হবে।’
বালিশ, মেট্রেস, এই ধরনের জিনিসই পাওয়া যায় ওয়েকফিটে। সব কিছু তৈরি হয় ভালো ঘুমের কথা মাথায় রেখে। এবার তারা নিজেদের অফিসেই চালু করল এই নিয়ম। এই খবর শেয়ার হতেই প্রশংসা শুরু করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘আমিও ঠিক এটাই চাইছিলাম। ওয়েকফিট আমার মনের কথা জেনে গেছে।’ তথ্যসূত্র : ইকোনমিক টাইমস
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।