মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ বলেছেন, করোনা শেষ হলে পশ্চিমবঙ্গে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তথা সিএএ কার্যকর হবে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়িতে বিজেপি আয়োজিত এক জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
এনজেপির জনসভা থেকে অমিত শাহ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের কাছে পরিষ্কার করে দিতে চাই, তৃণমূল সিএএ-র বিরোধিতা করছে। সেই কারণে তারা এর সম্বন্ধে মিথ্যে তথ্য ছড়াচ্ছে। ওরা বলছে, সিএএ নাকি কোনোদিন বাস্তবের মাটিতে জারি হবে না। কিন্তু আমি আজ পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, করোনার দাপট কমলেই আমরা সিএএ জারি করব এবং আমাদের ভাইদের নাগরিকত্ব দেব। মমতা দিদি, আপনি তো এটাই চান যে, অনুপ্রবেশ জারি থাকুক এবং বাংলাদেশ থেকে যে শরণার্থীরা এসেছেন, তারা নাগরিকত্ব না পান। তৃণমূলের লোকেরা কান খুলে শুনে নিন, সিএএ বাস্তবে ছিল, আছে এবং থাকবে। মমতা দিদি, আপনি কিছুই করতে পারবেন না।’
প্রসঙ্গত, নীলবাড়ির লড়াইয়ের আগে প্রচার চলাকালীন, ঠিক এ কথাই অমিতের মুখে শোনা গিয়েছিল। বোলপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও তিনি জানিয়েছিলেন, করোনা কমলে সিএএ প্রয়োগ নিয়ে বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর কেটে গিয়েছে অনেকগুলো দিন। উত্তর ২৪ পরগণা এবং নদিয়া জেলার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় সিএএ-র দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে। দলের বেসুরে কথা বলতে শোনা গেছে বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদেরও। প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, সিএএ-র নীতি প্রণয়ন এখনও হয়নি। একাধিকবার সংসদে নীতি প্রণয়নের সময়সীমা বর্ধিত করা হয়েছে। কিন্তু সিএএ জারি হয়নি। এ প্রেক্ষিতে বিধানসভা ভোটে হারের এক বছর পর বাংলায় এসে ফের সেই কথাই শোনালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এনজেপির সভায় অমিত হুঙ্কার দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিএএ প্রয়োগ ঠেকাতে পারবেন না। এ প্রসঙ্গে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এই প্রসঙ্গে যা বলার জয়প্রকাশ বলবে।’ সূত্র : টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।