পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানে সুদবিহীনক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি আখুওয়াত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. আমজাদ সাকিব। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভ‚মিকা রাখার জন্য তিনি এ মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৩৪৩ প্রার্থীকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তালিকায় ড. আমজাদ সাকিবের নামও রয়েছে। পাকিস্তানের এ জনহিতৈষী দেশটির বৃহত্তম সুদমুক্ত ইসলামি শরিয়াহসম্মতক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে আখুয়াত পাকিস্তানের বৃহত্তমক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৯০ কোটি ডলারের সমতুল্য সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ পরিশোধের হার প্রায় ১০০ শতাংশ। আমজাদ সাকিব ২০০৩ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন এবং একই বছর আখুয়াত প্রতিষ্ঠা করেন ডা. আমজাদ। প্রায় দুই দশক সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করা আখুয়াত এখন শরিয়াহসম্মত ক্ষুদ্রঋণের একটি কার্যকর মডেল উপস্থাপন করেছে, যা খুবই টেকসই বলে প্রমাণিত হয়েছে। সুদ ও জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালুর জন্য যে পাঁচ ব্যক্তি র্যা মন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন, তাদেরই একজন আমজাদ সাকিব। ঋণের অর্থ বিতরণের জন্য প্রার্থনার জায়গাগুলোকে ব্যবহার করেন আমজাদ। তার বিশ্বাস— মানুষের দয়া ও সংহতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব। নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার খবরে ডা. আমজাদ বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কাজগুলো করিনি। এগুলো পুরোপুরিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা। আমার সেবা এ ধরনের পুরস্কারের বাইরে এবং সম্প‚র্ণভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কেউ হয়তো আমার নাম এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছেন। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।