মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’। অর্থাৎ তিনি ঘুষ খাবেন না, ঘুষ খেতেও দেবেন না। অথচ তার দলেরই নেতা তথা উত্তরপ্রদেশের পানিশক্তি ও খাদ্যমন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব সিংহ রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বলেছেন, টাকা রোজগার করুন ‘ঠিক আছে’। কিন্তু পুরো টাকা নিজের পকেটে ভরবেন না।
বিরোধীরা বলছেন, প্রকাশ্যেই ঘুষ খাওয়ার পক্ষে সওয়াল করছেন উত্তরপ্রদেশের ওই মন্ত্রী। বিরোধী দলনেতা অখিলেশ যাদবের অভিযোগ, যোগী সরকারের আমলে দুর্নীতি কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটা তারই নমুনা মাত্র। মন্ত্রী স্বতন্ত্র দেব রোববার উত্তরপ্রদেশের গরৌঠা অঞ্চলে সেচের কাজ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে সেচের কাজ দেখে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ তিনি। স্বতন্ত্র দেব বলেন, ‘‘টাকা রোজগার করা কোনও খারাপ কাজ নয়, কিন্তু পুরো টাকা নিজের পকেটস্থ করা অন্যায়।’’ সেচের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশের পরে তিনি বলেন, ‘‘গরিব চাষিরা যাতে সেচের পানি পান, তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য।’’
প্রশাসনের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে জানান, কাজের পরিবর্তে ‘ঘুষ খাওয়া হয়েছে কিনা’, তা নিয়ে তদন্ত করুন তিনি। স্বতন্ত্রদেব অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়েছেন। তার বক্তব্য, ‘‘কীসের তদন্ত? আমি তো দেখতেই পাচ্ছি, কোটি কোটি টাকা এসেছে, কিন্তু খাল সংস্কারের কাজ হয়নি। অপরিষ্কারই হয়ে রয়েছে।’’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটা বড় অংশের মতে, মন্ত্রী স্বতন্ত্রদেবের মন্তব্যে জোড়া অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার তথা বিজেপি। কারণ বিরোধীরা অভিযোগ করছেন, উত্তরপ্রদেশকে ‘উত্তম’প্রদেশ করার স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। এই ‘উত্তম’প্রদেশের নমুনা! যেখানে মন্ত্রী সরাসরি ‘ঘুষ নিতে’ বলছেন। তাদের অভিযোগ, মন্ত্রীর বক্তব্যের মূল কথা হল, ‘ঘুষ খাওয়ায় বা প্রকল্পের টাকা লোপাট করে দেয়ায় তেমন কোনও অন্যায় নেই, কিন্তু কর্মকর্তারা যেন পুরো টাকা নিজেদের পকেটে না ভরেন’।
একই সঙ্গে রাজ্যে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না সেই অভিযোগেও সরব হয়েছেন বিরোধীরা। স্বতন্ত্রদেবের মন্তব্যের একটি ভিডিও পোস্ট করে অখিলেশের টুইট, ‘বিজেপি মন্ত্রীর বক্তব্য শুনুন। কী ভাবে কাজ ছাড়াই দুর্নীতি হচ্ছে। কাজ না করেই প্রকল্পের রবাদ্দ টাকা লোপাট হয়ে যাচ্ছে।’ সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।