নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ দলের আন্তর্জাতিক অভিষেক ম্যাচে বল হাতে নজর কেড়েছিলেন পেসার সামিউর রহমান। ক্রিকেট মাঠের দারুণ এই যোদ্ধা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চিরবিদায় নিয়ে পরপারে চলে গেলেন। মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকাল পৌনে নয়টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
৬৮ বছর বয়সী সামিউর রহমান দীর্ঘদিন ধরেই গুরুত্বর অসুস্থ ছিলেন। এরপর করোনাকালীন সময় থেকেই তার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। ডায়াবেটিস ছাড়াও মস্তিষ্কে ধরা পড়ে ক্যান্সার। এরপর থেকেই শয্যাশায়ী হয়েই ছিলেন সামিউর রহমান।
চলতি বছরের শুরুতেই একবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর দুই সপ্তাহের মধ্যে টানা দুইবার ব্রেন স্ট্রোক করেন সামিউর। এরপর থেকেই অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। চলাচলের ক্ষমতা হারানোর পাশাপাশি কথা বলাও বন্ধ হয়ে যায় তার।
পরিবার থেকে দেশে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলেছেন তার রোগ নিয়াময় সম্ভব না। ফলে গত ফেব্রুয়ারি থেকে বাসাতেই শয্যাশায়ী হয়ে ছিলেন ৭০ দশকের এই তারকা ক্রিকেটার। দীর্ঘ দিন রোগে ভোগার পর মঙ্গলবার সকাল পৌনে নয়টায় সবাইকে ছেড়ে পরলোকে পাড়ি জমান বলে জানিয়েছেন তার ছেলে রিয়াজুর রহমান রোহান।
তিনি আউট সুইং এর জন্য ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত ছিলেন সত্তর-আশি দশকের খ্যাতিমান ক্রিকেটার সামিউর। ১৯৮৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের অভিষেক এশিয়া কাপ দিয়ে। এই টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। বল হাতে ৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে মাত্র ১৫ রান দিয়েছিলেন সামিউর রহমান। পরের ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি। ওই দুই ম্যাচেই থেমে যায় তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা।
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে দেশের বিভিন্ন খাতিম্যান ক্লাবে খেলার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ঘরোয়া ক্রিকেটে আম্পায়ারিংও করেছেন সামিউর রহমান। ধানমন্ডি ঈদগাহ মসজিদে মঙ্গলবার বাদ জোহর তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।