লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পৌর শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে (১৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টারদিকে শহরবানু নামের এক নারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মহিলার সাবেক স্বামী খোকনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। নিহত শহরবানু পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ গ্রামের ফজর আলীর মেয়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী জানায়, প্রায় ৩৫ বছর আগে বগুড়ার বাসিন্দা মেহের আলীর ছেলে খোকন শেখ ও পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলীর মেয়ে শহরবানুর বিয়ে হয়। খোকন ঢাকার আব্দুল্লাহপুর এলাকায় কাঁচা মালের (সবজি) ব্যবসায়ী হিসেবে স্ত্রী নিয়ে ওই এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাদের সংসারে ৩ সন্তানও রয়েছে। এ সুবাধে ভাইয়ের বাসায় আসা যাওয়া করতেন তার ছোট ভাই ফকির আলী শেখ। এতে করে দেবর ভাবীর মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে তারা দু’জন পালিয়ে এসে লক্ষ্মীপুর শহরের সিরাজ মোল্লার বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। সাবেক স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে তারা নতুন সংসার শুরু করেন। এমন প্রেক্ষাপটে তার সাবেক স্বামী খোঁজ নিয়ে লক্ষ্মীপুরে আসেন। এক পর্যায়ে ছোট ভাইয়ের কর্মে যাওয়ার ফাঁকে বাসায় ঢুকে শহর বানুকে ফিরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব দেন খোকন। এতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শহরবানুকে জবাই করে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে খোকন। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার।
এসময় পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, ভাবীকে বাগিয়ে এনে দেবর বিয়ে করে নতুন সংসার শুরু করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সাবেক স্বামী তার স্ত্রীকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পুলিশ হত্যাকারীকে আটক করেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।