নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বাংলাদেশ জাতীয় কুস্তি দলের কোচ আশরাফ আলীর কোন সনদ নেই। তারপরও তিনি কুস্তিগীরদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, কোচ আশরাফ আলীর দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য পাসপোর্টের মেয়াদও নেই। তাই আসন্ন বর্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে বাংলাদেশ দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফেডারেশনের সদস্য একে মোবিনকে। এক সময় কুস্তিগীর থাকলেও কোচিংয়ের উপর মোবিনেরও কোন সনদ নেই। ঠিকাদারী ব্যবসাই যার মূল পেশা। এমন একজনকেই কমনওয়েলথ গেমস দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ কুস্তি ফেডারেশন! সনদহীন একজনের বদলে আরেক সনদহীন কোচের অধীনেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন জাতীয় দলের কুস্তিগীররা। এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান পালোয়ান বলেন, ‘কোচ আশরাফ আলীর কোচিংয়ের সনদ নেই, পাসপোর্টের মেয়াদও নেই। মোবিনেরও নেই সনদ, তাতে কি?’
কোচ জটিলতা নিয়েই আরও একটি কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে বর্মিংহাম যাবেন দেশের কুস্তিগীররা। বর্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসকে সামনে রেখে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জিমনেশিয়ামে চলছে লাল-সবুজের আট কুস্তিগীরের অনুশীলন। এখান থেকে সেরা চারজনকে বাছাই করে পাঠানো হবে বার্মিংহামে। অনুশীলনরত কুস্তিগীররা হলেন- ৫০ কেজি ওজনশ্রেনীতে আনসারের নদী চাকমা, ৫৭ কেজিতে আনসারের রূপালী আক্তার, ৬৮ কেজিতে সেনাবাহিনীর তিথী রায় ও আনসারের দোলা বেগম, ৯৭ কেজিতে আনসারের রাকিবুল খান ও লিটন বিশ্বাস, ৮৬ কেজিতে বিজিবির আবদুল রশিদ হাওলাদার এবং ৭৪ কেজিতে সেনাবাহিনীর আনোয়ার হোসেন।
তবে বার্মিংহামগামী দলের কোচ হিসেবে ফেডারেশনের সদস্য ও অনভিজ্ঞ একে মোবিনের নাম পাঠানোয় এখন সমালোচনা চলছে সর্বত্রই। বাংলাদেশ কুস্তি অঙ্গণে ফারুক ওস্তাদ বলে খ্যাত ফাকরু উদ্দিন আহমেদ। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত কুস্তিতে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার জিতেছেন তিনি। ৩৪ বছর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে কুস্তির কোচ ছিলেন। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় এখন ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির কর্তাদের বিরাগভাজন তিনি। ফলে ফেডারেশনবিমুখ হয়ে পড়েছেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘মোবিন একজন ঠিকাদার ব্যবসায়ী। এই লোক বিদেশে কিভাবে কোচ হিসেবে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করবে তা আমার বোধগম্য নয়। অথচ আমি ৩৪ বছর ক্রীড়া পরিষদে কুস্তির কোচ ছিলাম, কই আমাকে তো কখনো দলের সঙ্গে বিদেশে পাঠাননি পালোয়ান সাহেব।’ এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ট্রেনিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষ একে সরকার শনিবার বলেন, ‘বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসর উপলক্ষে ফেডারেশন থেকে যাদের কোচ হিসেবে দেওয়া হয়, আমরা জানি তারা পেশাদার কোচ। তাই আমরা ওই সব কোচদের সনদ সাধারণত দেখতে চাই না। বিষয়টির দেখভাল করার দায়িত্ব ফেডারেশনেরই। আমরা আশা করবো দেশের সম্মান নষ্ট হউক এমন কাজ কোন ফেডারেশন করবে না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।