নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দল ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেরা কুস্তিগীর বিল্লাল গাজী। নিজ খেলোয়াড়ী জীবনের ২১ বছরে দেশে ও বিদেশে অসংখ্য পদক জিতেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচেও জিতলেন সেরার খেতাব। শুক্রবার বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসে কুস্তি ডিসিপ্লিনের ১২০ কেজি ওজন শ্রেণীতে আনসারের মোখলেছুর রহমানকে সহজে হারিয়ে সোনা জিতে স্বর্ণময় বিদায় নিলেন বিল্লাল। দুই দশকের খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিলেন। গেমসের এই ইভেন্টে মোখলেছুর রহমান রুপা এবং সেনাবাহিনীর আল মামুন ও পুলিশের গাজী রিয়াজুল ইসলাম ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন ।
১৯৯৯ সালে প্রতিযোগিতামূলক কুস্তিতে নাম লেখান তৎকালীন বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সদস্য বিল্লাল গাজী। ২০০২ সাল থেকে এই বাহিনীর হয়েই খেলছেন তিনি। জাতীয় পর্যায়ে ১৪টি স্বর্ণপদক জিতেছেন। এছাড়া সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে তিনটি রৌপ্য এবং এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ৩টি রুপা ও একটি ব্রোঞ্জপদক জিতেছেন বিল্লাল। ২০০২, ২০১৩ ও চলমান বাংলাদেশ গেমসে তিনটি স্বর্ণপদক জেতার রেকর্ড রয়েছে তার। খেলোয়াড় হিসেবে ক্যারিয়ার শেষ করলেও কোচ হয়ে থাকতে চান কুস্তির সঙ্গে। বিল্লাল বলেন,‘বাংলাদেশ অ্যামেচার রেসলিং ফেডারেশনের কর্মকর্তারা যদি চান, তাহলে আমি কোচিংয়ে ক্যারিয়ার গড়তে চাই।’ তিনি যোগ করেন,‘খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অনেক কিছুই দেখেছি। উপলব্ধি করেছি, প্রশিক্ষণের বিকল্প কিছু নেই। আমার ধারণা দীর্ঘ মেয়াদী ভালোমানের কোচের অধীনে প্রশিক্ষণ নিলে আমাদের কুস্তিগীররাও বিশ্বমানে পৌঁছাতে পারবেন।’
এদিকে একই দিনে গেমসের ৯৭ কেজিতে বিজিবির আবদুর রশিদ স্বর্ণ, আনসারের লিটন বিশ্বাস রুপা এবং সেনাবাহিনীর খান সাব্বির ও পুলিশের শাকিল ব্রোঞ্জপদক জেতেন। নারীদের ৬২ কেজিতে আনসারের সুকান্তি বিশ্বাস স্বর্ণ, সেনাবাহিনীর আফসানা ইয়াসমিন রুপা এবং পুলিশের রুপা আক্তার ও যশোরের কমলা আক্তার ব্রোঞ্জপদক জেতেন। নারীদের ৫৯ কেজিতে সেনাবাহিনীর শারমিন আক্তার স্বর্ণ, আনসারের মরিয়ম আক্তার রুপা এবং পুলিশের পুষ্পলতা ও কুমিল্লার নিপা চাকমা ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।