Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রশ্নের মুখে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২২, ১২:৩৬ পিএম

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে আবারও প্রশ্নের মুখে রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতা। প্রায় দুই মাসের যুদ্ধে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির শিকার তারা। দেশটির শত শত ট্যাংক ধ্বংস করেছে জেলেনস্কি বাহিনী। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিন সরকারের বিশাল যে বহর দেখেছিল বিশ্ব, তার অনেক সামরিক যানই গুঁড়িয়ে দিয়েছে কিয়েভ।

যেসব এলাকা থেকে রুশ বাহিনী পিছু হটেছে, সেখানেই স্পষ্ট তাদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। জেলেনস্কি সরকারের বরাতে নিউইয়র্ক পোস্টের একটি খবর বলছে, এখন পর্যন্ত রাশিয়ার ৭৫৬টি ট্যাংক ধ্বংস করেছে তারা। তবে সামরিক এবং গোয়েন্দা ব্লগ ওরিক্সের দাবি, ৪৬০টি ট্যাংক ও দুই হাজারের বেশি অন্যান্য সাঁজোয়া যান ধ্বংস হয়ে গেছে মস্কোর।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানী কিয়েভের আশপাশের শহরে প্রবেশের সময়ই তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুতিন বাহিনী। সেই সময়ই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয় মস্কো। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সেনা মেজর জন স্পেনসার বলছেন, রাশিয়ার যে বিশাল বহর দেখেছিল বিশ্ব সেখানকার অনেক যান ধ্বংস করে দিয়েছে ইউক্রেন। মূলত শহর দখলে যাওয়ার আগেই প্রতিরোধের মুখে পড়ে পুতিন বাহিনী। ফলে শক্তিশালী সমরাস্ত্র নিয়েও দৌড়ে টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মস্কোকে।

অত্যাধুনিক এসব ট্যাংক বা সাঁজোয়া যান ধ্বংসে ব্যবহার করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া জ্যাভেলিন মিসাইল। রুশ বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য এই অস্ত্র সবচেয়ে বেশি কাজে দিয়েছে বলেও মন্তব্য অনেকের। যুক্তরাষ্ট্রের ওই সাবেক সেনা বলছেন, রাশিয়া যে সামরিক শক্তির দিক থেকে সবচেয়ে সুপার পাওয়ারের দেশ না, এটা বলাই যায়। এখনও যুদ্ধে চরম মূল্য দিতে হচ্ছে তাদের।

ইউক্রেনও স্বীকার করছে, ইউরোপ-আমেরিকার সামরিক সহায়তার কারণেই রাশিয়ার টুটি চেপে ধরতে পেরেছে তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ