Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিশাল গ্রহাণু, আয়তনে কুতুব মিনারের থেকে বড়

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০২২, ২:১৯ পিএম

পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে একের পর এক গ্রহাণু। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী পয়লা এপ্রিলই একেবারে পৃথিবীর কাছে এসে পড়বে ওই গ্রহাণু। আয়তনে কুতুব মিনারের থেকেও বড়, পৃথিবীর দিকে প্রায় ৪৬,১৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি।

জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী পয়লা এপ্রিলই একেবারে পৃথিবীর কাছে এসে পড়বে। জানা গিয়েছে, আয়তনে দিল্লির কুতুব মিনারের থেকে ৩.৫ গুণ বড় এই গ্রহাণু। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের আভাস, এটি একেবারে পৃথিবীর গা ঘেঁষে বেরোবে। নাসা (National Aeronautics and Space administration)-এর তরফে জানানো হয়েছে ওই গ্রহাণু বা (Asteroids)-র নাম Dubbed 2007 FF1। গ্রহাণুটি সাধারণ গ্রহাণু থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণ এটির আয়তন বিরাট। আয়তনে দিল্লির কুতুব মিনারের তুলনায় সাড়ে তিনগুণ বড়।

জানা গিয়েছে, ওই গ্রহাণুটি চওড়ায় ২৬০ মিটারেরও বেশি চওড়া। এক তারিখ এটি পৃথিবীর একেবার কাছে এসে পড়বে। বিজ্ঞানীদের আভাস অনুযায়ী, পৃথিবীর কাছে এলেও আমাদের গ্রহে আছড়ে পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই গ্রহাণুটির। সেদিন এর গতিপথের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৭৪,২৩,০৪৬। যেহেতু এটি পৃথিবীর একদম কাছাকাছি চলে আসবে তাই এটিকে NEO (Near Earth Object) বলা হয়েছে। পৃথিবীর দিকে প্রায় ৪৬,১৮৮ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে ছুটে আসছে গ্রহাণুটি।

গত জানুয়ারি মাসে পৃথিবীর গা ঘেঁষে যায় বুর্জ খলিফার চেয়ে বড় এক গ্রহাণু। NASA (National Aeronautics and Space administration)-এর তরফে জানানো হয়েছে, ওই গ্রহাণু বা (Asteroids)-র নাম 7842 (1994 PCI)। গ্রহাণুটি সাধারণ গ্রহাণু থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণ এটির আয়তন বিরাট। আমাদের পৃথিবীতে থাকা সবথেকে বড় বিল্ডিংয়ের তুলনায় ওই গ্রহাণুটি ছিল আকারে বড়। সেই হিসেবে অনেকেই বলেছেন বুর্জ খালিফার থেকেও বড় ওই গ্রহাণু।

ইন্টারন্যাশনাল আকাডেমি অফ অ্যাস্ট্রোনটিকস প্ল্যানেটরি ডিফেন্স কনফারেন্সে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে জিম ব্রাইডেনস্টাইন জানিয়েছিলেন, বিভিন্ন হলিউড ছবিতে বার বার দেখানো হয়েছে অ্যাস্টেরয়েড পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লেও, অদ্ভূত ক্ষমতাবলে মানুষ তার প্রভাবকে হারিয়ে ফের ছন্দে ফিরে এসেছে মাত্র কয়েক ঘন্টায়। ফলে মানুষের মনে কোথাও না কোথাও এক মিথ্যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছে। তারা বুঝতে পারছেন না সত্যিই কোনওদিন এমন কিছু ঘটলে তা কতটা ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে।

উদাহরণ হিসেবে তিনি ২০১৩ সালের একটি ঘটনা উল্লেখ করেন। Chelyabinsk শহরের ঠিক ২৩ কিমি উপরে বিস্ফোরণ হয় ২০ মিটারের (৬৫ ফুট) একটি গ্রহাণুর। এর প্রভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল কয়েক হাজার বাড়ি। হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল ১৫০০-র বেশি মানুষকে। আর এই সবটাই হয়েছিল গ্রহাণু বিস্ফোরণের শকওয়েভ থেকে। তাই ব্রাইডেনস্টাইন বার বার সতর্ক করে বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা একেবারেই বিরল নয়। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাকাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ