মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশাল ভারী শরীর, তেমনই ক্ষিপ্র গতি। এমনই দুই নক্ষত্রের সংঘর্ষ ঘটলে বিরল এক ঘটনার সাক্ষী থাকে মহাবিশ্ব। তৈরি হয় কৃষ্ণগহ্বর যেখান থেকে আলো যাতায়াতের এতটুকু ছিদ্রও থাকে না, যেখানে কোনও ঘটনাই বস্তুত ঘটে না, সব নিমেষে বিলীন হয়ে যায়।
আইনস্টাইন-হকিংদের গবেষণা অনুযায়ী কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে সাধারণ ধারণা এমনই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, গবেষণা আরও এগনোর সঙ্গে সঙ্গে আইনস্টাইনদের তত্ত্বের জোর কমছে ক্রমশ। সম্প্রতি এক গবেষণা বলছে, মোটেই সব গিলে ফেলে না কৃষ্ণগহ্বর বা ব্ল্যাক হোল। ওই বিধ্বংসী সংঘর্ষের পর সেখানেও রয়ে যায় স্মৃতি। এই তত্ত্ব সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হলে কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানকে অন্য আলোয় ফেলে দেখতে হবে, মনে করছে বিজ্ঞানী মহলের একাংশ।
ব্যাপারটা একটু গোড়া থেকে বুঝে নেওয়া যাক। প্রকাণ্ড নক্ষত্রগুলো যখন প্রচণ্ড মহাকর্ষজ টানে পরস্পরের দিকে ধেয়ে গিয়ে প্রবল সংঘর্ষ ঘটায়, তখন সেই দশাই কৃষ্ণগহ্বর তৈরির সূচনা মুহূর্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। এত প্রবল ভরকেন্দ্রে সমস্ত কিছু লুপ্ত হয়ে যায়। এর মারাত্মক মহাকর্ষজ টান এড়িয়ে বেরতে পারে না কেউ। এমনকী আলোও গিলে ফেলে সেই ব্ল্যাক হোল। আর সেই কারণেই তার নাম কৃষ্ণগহ্বর। এই ঘটনাকে তারাদের মৃত্যু এবং পুনর্জন্ম বলেও উল্লেখ করে থাকেন বিজ্ঞানীরা। বলা হয়, নতুন তৈরি এই ব্ল্যাক হোলে পুরনো নক্ষত্রদের কোনও ধর্মই আর থাকে না, তা স্রেফ মৃতদেহের মতো।
কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অন্য কথা। বলা হচ্ছে, ব্ল্যাক হোল পূর্ব স্মৃতি ধরে রাখে। মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির দুই অধ্যাপক জেভিয়ার ক্যালমেট, রবার্তো ক্যাসাডিও, স্টিফেন সু’র যৌথ গবেষণা বলছে, কৃষ্ণগহ্বর অনেকটা ছোটদের মস্তিষ্কের মতো। জন্মের আগের অনেক কিছুই মনে রাখতে পারে। অর্থাৎ যে দুই নক্ষত্র সংঘর্ষ ঘটিয়ে ব্ল্যাক হোলের জন্ম দিল, সে সম্পর্কে অনেক তথ্যই মনে রাখতে পারে। অধ্যাপক ক্যালমেটের কথায়, “আমাদের গবেষণা, পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে কোয়ান্টাম তত্ত্বের অঙ্ক নতুন করে কষতে হবে। ব্ল্যাক হোলে কিছু ঢুকে পড়লে আর তা বেরিয়ে আসতে পারে না, এমনটা সত্যি নয়। গবেষণা বলছে, ওই হোলের গায়েই তথ্যের ভাণ্ডার রয়ে গিয়েছে।”
১৯৭৬ সালে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ‘ব্ল্যাক হোল প্যারাডক্স’ সমাধানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। ব্ল্যাক হোলে ঢুকে সব কি সত্যিই বিলীন হয়ে যায় নাকি অন্য গন্তব্যে পৌঁছয়? নিজের তত্ত্বে এই প্রশ্নও তুলে দিয়েছিলেন তিনি। যুগের পর যুগ ধরে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে চলেছেন পদার্থবিজ্ঞানীরা। এবার কি সেই প্রতীক্ষিত উত্তরের খোঁজ দিল ক্যালমেট, ক্যাসাডিও, স্টিফেনের যৌথ গবেষণা? তা নিশ্চিতভাবে বলা যাবে হয়তো আরও খানিকটা পরে। তবে তা যদি সত্যিই হয়, তবে নতুন করে কোয়ান্টাম ফিজিক্সের বেশ কিছু তত্ত্ব রচনা করতে হবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।