গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর কল্যাণপুরের নতুনবাজার বেলতলা বস্তিতে আগুন লেগে পুড়েছে শত শত ঘর। নিঃস্ব হয়েছেন অনেকে। কোনোমতে প্রাণে বাঁচলেও ঘরের জিনিসপত্র কিছুই বের করা সুযোগ পাননি বস্তির বাসিন্দারা।
রোববার (২০ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বস্তিতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট। পরে সেখানে কাজে যোগ দেয় আরও সাতটি ইউনিট। ১৪টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় ২০ মিনিটের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এ ২০ মিনিটে পুড়ে ছাই হয়েছে সব।
বস্তির বাসিন্দা নিজাম বলেন, ‘৯টার আগেই বস্তিতে আগুন লেগেছে। হঠাৎ চিৎকারে শুনে ঘর থেকে বের হই, দেখি চারদিকে আগুন। দ্রুত মাকে ঘর থেকে বের করে কোনোমতে প্রাণে বেঁচেছি। ঘরের জিনিসপত্র কিছুই বের করতে পারিনি।’
ঘরের পোড়া জিনিসপত্র হাতে নিয়ে বিলাপ করছেন আরেক নারী। ঘরেই তিনি দোকান চালাতেন। ওই নারী বলেন, ‘ঘর থেকে কিছুই নিয়ে বের হতে পারিনি। হাতের কাছে ব্যবসায়ের ৮০০ টাকা ছিল, তাই নিয়েই শুধু বের হইছি। ঘরেই দোকানদারি করতাম আমি। আমার সব পুড়ে শেষ।’
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাদ্দাম হোসেন বস্তি পরিদর্শনে আসেন। এসময় তিনি বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাতের বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। এখানে একটা ঘরের সঙ্গে আরেকটা ঘর লাগানো। চারদিকে দেয়াল থাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজ করতে যথেষ্ট বেগ পোহাতে হয়েছে। এরপর পানির সংকট তো আছেই।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪টি ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। ক্ষয়ক্ষতি কেমন হয়েছে, সেটা পরে জানানো যাবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।