নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অবিশ্বাস্য অসাধারণ সুন্দর ফুটবল উপহার দিয়ে ক্লাসিকোয় চিরপ্রতিদ্বন্দীদের উড়িয়ে কাতালানার বার্সেলোনা। বিস্ময়ের সব মাত্রা ছাপিয়ে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে গোল উৎসব করল বার্সেলোনা। রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল ৪-০ গোলে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে দুটি করে বার্সেলোনা।
পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং দলকে এগিয়ে দেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রোনালদ আরাহো। চোটের কারণে খেলতে না পারা করিম বেনজেমার অনুপস্থিতি রিয়ালের আক্রমণভাগে ফুটে ওঠে প্রকটভাবে। দারুণ ছন্দে থাকা দুই দলের লড়াই শুরুতেই উত্তাপ ছড়ায়। ম্যাচ শুরুর ১২ সেকেন্ডের মাথায় ফেররানকে আটকাতে ফাউল করেন রিয়াল ডিফেন্ডার এদের মিলতাও।
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে ২৪তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি বার্সা। ২৯তম মিনিটে আর বাঁচতে পারেনি রিয়াল। ক্যারিয়ারে নতুন উদ্যম খুঁজে পাওয়া দেম্বেলে ডান দিক থেকে দারুণ ক্রস বাড়ান আর কোনাকুনি হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন অবামেয়াং।
গোল পেয়ে আরও উজ্জ্বীবিত হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ৩৫তম মিনিটে অবশ্য সমতা টানার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন ভিনিসিউস। প্রতি-আক্রমণে সবাইকে পেছনে ফেলে ওয়ান-অন-ওয়ানে গোলরক্ষককে কাটাতে গিয়ে গুলিয়ে ফেলেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ভারসাম্য হারিয়ে নিজেই পড়ে যান। ৩৮ মিনিটে রিয়াল সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেয় আরাহোর গোল। অ্যাসিস্টের ভূমিকায় আবারও দেম্বেলে। তার আরেকটি দারুণ ক্রসে লাফিয়ে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন উরুগুয়ের ডিফেন্ডার।
বিরতির পর ম্যাচ শুরুর ১৭ সেকেন্ডের মাথায়ই প্রতি-আক্রমণে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান ফেররান। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে বাইরে মেরে বসেন তিনি। ম্যাচের ৪৭ মিনিটে সেই হতাশা মুছে দেন ফেররান। অবামেয়াংয়ের ছোট পাস বক্সে পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ম্যানচেস্টার সিটি থেকে জানুয়ারিতে কাম্প নউয়ে আসা এই তরুণ।
তিন গোল খেয়ে দিশা হারিয়ে ফেলা রিয়াল চার মিনিট পরই হজম করে চার নম্বরটি। ম্যাচের ৫১তম মিনিটে নিজেদের অর্ধ থেকে ফেররানের উদ্দেশ্যে উঁচু করে বল বাড়ান জেরার্দ পিকে। সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে তিনি পাস দেন অবামেয়াংকে। বেশ খানিকটা সময় নিয়ে ভিএআর জানায় গোল এবং স্কোরলাইন ৪-০।
৫৭তম মিনিটে অবামেয়াংয়ের হ্যাটট্রিকও হতে পারত। কিন্তু বাঁ থেকে জর্দি আলবার পাস ছয় গজ বক্সে ফাঁকায় পেয়ে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। এরপরেও তারা সুযোগ তৈরি করেছে আরও কয়েকটি। ৬৪তম মিনিটে যেমন আরও একবার উন্মুক্ত হয়ে পড়ে রিয়ালের রক্ষণ। তবে ফেররানের এই শটও রুখে দেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
চার গোল খেয়ে রিয়াল অনেকটাই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে। খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষাতেও ফুটে উঠছিল তা। বাকি সময়ে কয়েকটি সুযোগ অবশ্য তৈরি করেছিল তারা, কিন্তু সান্ত্বনাসূচক গোলের জন্যও তা যথেষ্ট হয়নি। এখানে হারলেও লিগ টেবিলে রিয়ালের শীর্ষে অবস্থান অবশ্য সুসংহতই থাকছে। ২৯ ম্যাচে ২০ জয় ও ৬ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬৬। ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে সেভিয়া। এক ম্যাচ কম খেলা বার্সেলোনা ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।