শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
ম্যাক্সিম গোর্কির বিখ্যাত সেই উক্তি। সত্যিই তাই বই আমাদের পরম বন্ধু, আশার আশ্রয়স্থল। বইমেলার প্রচার-প্রসার স্বভাবতই দিনকে দিন বেড়েই চলছে। মেলায় বাড়ছে উদ্যোক্তা, প্রকাশক, লেখক-পাঠক, দর্শনার্থীর পরিমাণ। লাখো লাখো বইপ্রেমী, জ্ঞানপিপাসু বই কিনতে বছরের এই নির্দিষ্ট সময়টাতে হাজির হচ্ছে বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের এই বিশাল প্রাঙ্গণে।
আন্তর্জাতিক বইমেলা হুট করে কেউ আয়োজন করেনি। শুরুটা জাতীয় পর্যায়েই ছিল। মানে এবং গুণে সেসব বইমেলা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছাতে পেরেছে। কিন্তু আমাদের বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলার মান নিয়ে উঠে ত্রুটি-বিচ্যুতির কথা।
কথাসাহিত্যিক স্বকৃত নোমান তাঁর উদ্ধৃতিতে বলেন, ‘আমাদের এখানে একুশের চেতনার সঙ্গে বইমেলাকে একাত্ম করা হয়েছে বলে বইমেলা এলে মানুষ বই ও একুশের চেতনায় জেগে ওঠে। গ্রন্থমেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যাওয়ার সময় হয়েছে আরো আগেই।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যেখানে সম্প্রতি পালিত হয়ে গেল ৪৫তম আন্তর্জাতিক বইমেলা। তাদের দেশ-বিদেশের মিলে বইয়ের স্টল সংখ্যা ছিল ৬০০টি সেখানে আমাদের দেশীয় ৭৭৬ স্টল সুতরাং আন্তর্জাতিক মানের হতে হলে স্টল বা বই প্রকাশ সংখ্যা এখানে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের জায়গার কোনো সংকুলান নেই। ১৫ লাখ বর্গ ফুটের বিশাল আয়তনের এই বইমেলা।
১৯৭২ সাল থেকে ২০২২ দীর্ঘ ৫০ বছর অতিবাহিত হওয়া সত্তেও আন্তর্জাতিক মান অর্জন করছে না বই মেলা। বিশ্বমানের দাবিতে বিশিষ্টজনেরা চুপচাপ। বিদেশিদের অবস্থান এখানে নেই। যেখানে বাংলা ভাষায় জাতিসংঘ স্বীকৃত ভাষা মাতৃভাষা হিসেবে পঞ্চম আর বিশ্বে এর স্থান সপ্তম। সত্যিই বড় আফসোসের ব্যাপার।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের বই মেলা অত্যন্ত মান্নোত। লেখক-পাঠক, দর্শনার্থীসহ সবাই সন্তুষ্ট। মেলার আয়োজকরা সেসব ব্যাপার মাথায় রাখেন।
ফ্রাংকফুট কিংবা লন্ডন বইমেলা অত্যন্ত অভিজাত। সেখানে বইয়ের অর্ডার কাটা হয়। সময়মতো ডেলিভারি হয়। পাঠকের কারণবশত পছন্দ না হলে ফেরতের ব্যবস্থা আছে। মানের দিকে বিন্দু পরিমান ছাড় নেই। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ব্রিটেন এমনকি মালয়েশিয়ার কথাও না বললেই নয়। জাতীয় কল্যাণ ও মেধা-মননে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
যেসব প্রকাশকদের প্রুফ রিডার নেই, নেই এডিটিং প্যানেল এমনকি প্রিভিউ কমিটি। সেসব প্রকাশনীগুলো মেলায় স্টল পেয়ে যাচ্ছে হরহামেশায়। এসব তদারকি করার দায়িত্ব আয়োজকের। বই মেলা করতে হলে আয়োজকদের সচেতন হতে হবে।
যে জাতি ভাষার জন্য জীবন দিয়েছে এবং তাঁরা
জাতিসংঘের স্বীকৃতি পেয়েছে সে জাতিকে বিশ্ব দরবারে বইমেলার মাধ্যমে তুলে ধরা ধরার জন্য সরকারের এ বিষয়ে ভারৈা পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস। বর্তমান সরকারের উন্নায়নমূলন অনেক কাজ করেছেন। যা দেশে বিদেশে আজ স্বীকৃত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।