গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অমর একুশে বইমেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ও হেঁটে চলাফেরায় অক্ষম ব্যক্তিদের চাহিদার কথা চিন্তা করে বিনামূল্যে হুইল চেয়ার সেবা দিচ্ছে সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। বাংলা একাডেমি ও বিকাশের সহযোগিতায় তারা এ সেবাটি দিচ্ছে।
এ সেবার অংশ হিসেবে প্রতিদিন মেলার টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে ২০টি হুইল চেয়ার থাকবে। পাশাপাশি এ কর্মসূচিতে ২০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। প্রতিবন্ধী কিংবা চলাফেরা করতে অক্ষম যে কেউ বিনামূল্যে সেবাটি নিতে পারছেন। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলায় প্রবেশপথে দেখা মেলে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে। প্রতিদিনের মতো সেবা দিতে আজও তারা ব্যস্ত। তারা জানান, গত ৯ বছর ধরে বইমেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ও যারা পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে অসুবিধা এমন দর্শনার্থীদের হুইলচেয়ার সেবা দিয়ে আসছেন তারা। এ বছর মেলার দ্বিতীয় দিন থেকে তারা এ সেবা দিচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবা দিয়ে আনন্দ ও মানসিক শান্তি পাচ্ছেন বলে জানান স্বেচ্ছাসেবীরা।
জানতে চাইলে স্বেচ্ছাসেবক ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার বলেন, সুইচ বাংলাদেশের হয়ে গত বছরও আমি এ সেবায় নিয়োজিত ছিলাম। সামাজিক কাজ হিসেবে এটা আমি খুবই উপভোগ করি। যাদের সেবা দিয়েছি তারা প্রত্যেকই আশীর্বাদ করেছে। যার কারণে ব্যস্ততার পরও আমি এবছরও স্বেচ্ছায় এ সেবা দিচ্ছি। আরেক স্বেচ্ছাসেবক ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইমন বলেন, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের মেলা ঘুরিয়ে দেখাতে পারার মাঝে একটা মানসিক আনন্দ ও আত্মতৃপ্তি রয়েছে। তারা আমাদের জন্য প্রাণভরে দোয়া করছেন। এটিই আমাদের কাছে বড় পাওয়া।
এ প্রসঙ্গে সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত ৯ বছর ধরে আমরা অমর একুশে বইমেলায় শারীরিক প্রতিবন্ধী ও যারা পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে অসুবিধা এমন দর্শনার্থীদের হুইল চেয়ারের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আসছি। এবছরও আমরা হুইল চেয়ারের মাধ্যমে উক্ত সেবা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। হাঁটতে পারেন না-এমন ব্যক্তিরা মেলার গেট পর্যন্ত কোনোভাবে পৌঁছাতে পারলেই আর চিন্তা নেই। আমরা কোনো বিনিময় ছাড়া একজন শারীরিক প্রতিবন্ধীর যতক্ষণ পর্যন্ত ইচ্ছে হয়, ততক্ষণ মেলায় ঘুরিয়ে নিয়ে আসি।
সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুঈনুল আহসান ফয়সাল বলেন, মেলার দুই প্রান্ত টিএসসি ও দোয়েল চত্বরে মোট ২০টি হুইল চেয়ার আছে সেবা দেওয়ার জন্য। এবারের মেলাতেও হুইল চেয়ারগুলোর ব্যবস্থা করেছে বাংলা একাডেমি। এতে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছে সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেচ্ছাসেবীরা। সার্বিক সহযোগিতায় করছে বিকাশ। মেলার শেষ দিন পর্যন্ত বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে আমাদের এই সেবামূলক কার্যক্রম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট ও ডিএমসিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের সমন্বয়ে পরিচালিত সংগঠন সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ২০১১ সাল থেকে পথশিশুদের শিক্ষা দান, ১০ টাকায় কাপড়সহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।