মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কর্ণাটক রাজ্যের একটি আদালত ঐতিহ্যবাহী ইসলামিক হেডস্কার্ফের (হিজাব) ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখায় কট্টরপন্থী হিন্দু দলগুলো ভারতের আরো রাজ্যের শ্রেণিকক্ষে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞার দাবি করছে। এর ফলে নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারী মুসলিম ছাত্রদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ফেব্রæয়ারিতে হিজাবের ওপর দক্ষিণ রাজ্যের নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে গত মঙ্গলবার কর্ণাটক হাইকোর্টের সিদ্ধান্তকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) শীর্ষ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও স্বাগত জানিয়েছেন, যারা বলেছেন ছাত্রদের শ্রেণিকক্ষে ধর্মীয় পোশাক পরিধান এড়ানো উচিত।
ভারতে ইউনিফর্মের কোনো জাতীয় নির্দেশিকা নেই এবং রাজ্যগুলো প্রায়শই তাদের ছাত্রদের কী পরতে হবে তা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্কুলগুলোর ওপর ছেড়ে দেয়। হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার সভাপতি ঋষি ত্রিবেদী বলেন, ‘আমরা একটি হিন্দু জাতি এবং আমরা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের ধর্মীয় পোশাক দেখতে চাই না’। ‘আমরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানাই এবং একই নিয়ম সারা দেশে অনুসরণ করতে চাই’।
বিজেপি-শাসিত কর্ণাটকে এ নিষেধাজ্ঞার ফলে কিছু মুসলিম ছাত্র এবং অভিভাবকদের বিক্ষোভ এবং হিন্দু ছাত্রদের পাল্টা প্রতিবাদ হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার সমালোচকরা বলছেন যে, এটি মুসলিম স¤প্রদায়কে প্রান্তিক করার আরেকটি উপায় যা হিন্দু-সংখ্যাগরিষ্ঠ ভারতের ১৩৫ কোটি জনসংখ্যার প্রায় ১৩ শতাংশ।
বিজেপির মূল সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সহযোগী বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতারা বলেছেন, তারা মোদির নিজ রাজ্য গুজরাটে হিজাব নিষিদ্ধ করার জন্য বলেছে এবং শিগগিরই দেশের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তরপ্রদেশকে চিঠি দেবে। দুই রাজ্যেই ক্ষমতায় বিজেপি।
প্রতিরক্ষা বাহিনী, পুলিশ, সরকারি অফিসে হিজাব নিষিদ্ধ, তাহলে স্কুল-কলেজে হিজাবের ওপর জোর কেন? বলেছেন ভিএইচপি-র গুজরাট সম্পাদক অশোক রাভাল। ‘এটি সা¤প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়ানোর চেষ্টা’।
গুজরাটের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি মন্তব্য করতে রাজি হননি। একজন প্রতিমন্ত্রী এবং একজন আমলা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, স্কুলে হিজাব নিষিদ্ধ করার তাৎক্ষণিক কোনো পরিকল্পনা নেই। উত্তর প্রদেশের কর্মকর্তারা, যেখানে বিজেপি সা¤প্রতিক রাজ্য নির্বাচনে নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে, মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, বলেছেন যে, একটি সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র পরবর্তী প্রশাসন গ্রহণ করবে যারা কয়েক দিনের মধ্যেই শপথগ্রহণ করতে যাচ্ছে।
আয়েশা হাজিরা আলমাস - যিনি কর্ণাটকের নিষেধাজ্ঞাকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন এবং এখন নিষেধাজ্ঞা বাতিল করার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে যাওয়ার কথা বিবেচনা করছেন, বলেছেন যে হিজাব নিষেধাজ্ঞা এখন জাতীয় হয়ে যাওয়ার একটি সত্যিকারের ভয় রয়েছে। ১৮ বছর বয়সী এই তরুণী বলেছেন যে, ফেব্রæয়ারির শুরুতে রাজ্যব্যাপী নিষেধাজ্ঞা আসার আগেও তার প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ মুসলিম মেয়েদের হিজাব পরতে নিষেধ করায় ডিসেম্বরের শেষের দিক থেকে তিনি স্কুলে যাননি।
‘ক্রমবর্ধমানভাবে, আমরা অনুভব করছি যে, আমরা এমন একটি ভারতে বাস করছি যেখানে তার নাগরিকদের সাথে সমান আচরণ করা হয় না’- আলমাস কর্ণাটকের উদুপি জেলা থেকে বলেন, যেখান থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
‘আমি নিজের জন্য লড়াই করছি, আমার বোনদের জন্য লড়াই করছি, আমার ধর্মের জন্য লড়াই করছি। আমি ভয় পাচ্ছি যে, সারা দেশে এমন পরিবর্তন হবে। কিন্তু আমি আশা করি এটি হবে না’। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।