বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে পিকআপ ভ্যানচাপায় ছয় ভাই নিহতের ঘটনায় পিকআপ মালিক মাহমুদুল করিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মঙ্গলবার (০১ মার্চ) দুপুরে পিবিআই কক্সবাজারের বিশেষ পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পিকআপ মালিক মাহমুদুল করিমকে চকরিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি চকরিয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রাজীব কুমার দে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের আদেশ দেন। তারপর থেকে পিবিআই মামলাটির নথি পেয়ে তদন্তে নামে। একই ঘটনায় গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ঘাতক পিকআপ ভ্যানের চালক সাহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে র্যাব।
প্রসঙ্গত, বাবা সুরেশ চন্দ্রের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে এসে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট এলাকায় পিকআপ ভ্যানচাপায় পাঁচ ছেলে অনুপম সুশীল (৪৬), নিরুপম সুশীল (৪০), দীপক সুশীল (৩৫), চম্পক সুশীল (৩০) ও স্মরণ সুশীল (২৯) নিহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক ছেলে রক্তিম শীল।
ঘটনার ১০ দিন আগে তাদের বাবা সুরেশের মৃত্যু হয়। বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে তারা ৯ ভাই-বোন বাড়িতে সমবেত হয়েছিলেন। ঘটনার দিন ভোরে স্থানীয় একটি মন্দিরে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান শেষে একসঙ্গে ৯ ভাইবোন (৭ ভাই ও ২ বোন) হেঁটে বাড়িতে আসার জন্য সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় পিকআপের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই একসঙ্গে চারজনের মৃত্যু হয়, বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরেক ভাই।
ঘটনায় অক্ষত অবস্থায় বেঁচে যান সুরেশ চন্দ্র সুশীলের মেয়ে মুন্নী সুশীল। আহত হন সুরেশ চন্দ্রের আরও দুই ছেলে ও এক মেয়ে। আহতদের মধ্যে রক্তিম শীল ২২ ফেব্রুয়ারি সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। নিহতদের বোন হীরা শীল মালুমঘাট খ্রিষ্টান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার একটি পা কেটে ফেলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।