মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইউক্রেনে আটকে পড়েছেন প্রায় ১৬ হাজার ভারতীয়, যাদের মধ্যে অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী। তাদের ভারতে ফেরানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, চার মন্ত্রী হরদীপ পুরি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, কিরণ রিজুজু এবং ভি কে সিং ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলিতে যাবেন। সেখান থেকে ইউক্রেনে আটক ভারতীয়দের উদ্ধার করার কাজ দেখভাল করবেন। তারা ভারতের বিশেষ দূত হয়ে ওই দেশগুলিতে যাবেন। সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। সেখানে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ইউক্রেন থেকে সরাসরি ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে আসা সম্ভব হচ্ছে না। লড়াইয়ের জন্য ইউক্রেনের বিমানবন্দরে বিমান নামতে পারছে না। এই অবস্থায় ইউক্রেন থেকে সীমান্ত পেরিয়ে রোমানিয়ায় ভারতীয়দের নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখান থেকেই বিমানে করে দিল্লি উড়িয়ে আনা হলো ২৪৯ জন ভারতীয়কে।
এই নিয়ে পাঁচটি বিমানে করে ভারতীয়রা দেশে ফিরলেন। দিল্লিতে নামার পর এক ছাত্র সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ''আসল সমস্যা হলো সীমান্ত পেরোনো। তবে ভারতীয় দূতাবাস সব ধরনের সাহায্য করছে। আমি আশা করছি, আটক সব ভারতীয় নিরাপদে দেশে পিরতে পারবেন।''
ইউক্রেনে ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করে জানানো হয়েছে, কোনো ভারতীয় যেন নিজে থেকে ঝুঁকি নিয়ে সীমান্ত পেরোতে না যান। কারণ, বিভিন্ন সীমান্ত চেকপোস্টের অবস্থা খুবই স্পর্শকাতর। দূতাবাসের তরফ থেকে বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে। তারপর ভারতীয় নাগরিকদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
দূতাবাসের তরফ থেকে সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ''চেকপোস্ট পার করানোটা ক্রমশ খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই তাদের সঙ্গে সমন্বয় না করে কোনো ভারতীয় যেন সীমান্ত পেরিয়ে অন্য দেশে যাওয়ার চেষ্টা না করেন।''
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের ফেরানোর অভিযানের নাম দিয়েছে অপারেশন গঙ্গা। এর জন্য একটা নির্দিষ্ট টুইটার হ্যান্ডেল তৈরি করা হয়েছে। হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও স্লোভাক রিপাবলিকে হেলপলাইন নম্বর সেখানে দেয়া হয়েছে। ইউক্রেনের সঙ্গে এই দেশগুলির সীমান্ত রয়েছে।
ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা সামাজিক মাধ্যমে জানাচ্ছেন, তারা কীভাবে বাংকারে, সাবওয়েতে আশ্রয় নিয়েছেন। কীভাবে শহরে ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ছে এবং গোলা-গুলি চলছে। তারা বারবার সাহায্যের জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। অনেক ভারতীয় ছাত্রছাত্রী সীমান্ত পার হতে গিয়েছিলেন এবং তারা বিপাকে পড়েছেন এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পিটিআই, এএনআই
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।