Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লঞ্চে নিরাপত্তা এখন সময়ের দাবি

| প্রকাশের সময় : ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

দক্ষিণ অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যম নদীপথ। লঞ্চের মাধ্যমেই তারা তাদের গন্তব্য অভিমুখে যাতায়াত করে। প্রতিটি লঞ্চেই নিয়মিত শতশত যাত্রী যাতায়াত করে। অধিকাংশ লঞ্চ রাতে চলাচল করে। এই সময়ে যাত্রীদের নিরাপত্তার একমাত্র আস্থা লঞ্চের দায়িত্বশীল বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। কিন্তু দুঃখজনক হলেও মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের নানান হয়রানিমূলক আচরণের শিকার হতে হয় লঞ্চের স্টাফদের মাধ্যমে। যেগুলোর মধ্যে অন্যতম ভাড়া, সিট বণ্টন, খাবারের অতিরিক্ত টাকা, আনুষাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা সহ নানান বিষয়। লঞ্চ মালিক এবং কর্মচারীদের একক কর্তৃত্ব থাকার ফলে যাত্রীদের নিরবে সবকিছু সয়ে যেতে হয়। সাম্প্রতিক সময়ে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে সবগুলোই লঞ্চ স্টাফদের অবহেলার ফলে। তারা তাদের সুবিধা মতো লঞ্চ চালায়, সময়ের কোনো গুরুত্ব না দেওয়ায় মাঝেমধ্যেই যাত্রীদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ভোলা থেকে আগত শ’খানেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে পারেনি লঞ্চ স্টাফদের অবহেলার কারণে। সাম্প্রতিক সময়ে বরগুনাগামী অভিযান ১০ লঞ্চে আগুন লেগে অনেক যাত্রী হতাহত হয়েছেন। সে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, ইচ্ছে করলে লঞ্চ চালক লঞ্চকে একটা যায়গায় ঘাট করে মানুষের জীবন বাঁচাতে পারতো। স্টাফরা ততোক্ষণে সবার থেকে ভাড়া নেননি, তাই বলা সত্ত্বেও লঞ্চ ঘাটে নেয়নি। এছাড়াও মাঝেমধ্যেই কেবিনে মৃত্যু থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা গণমাধ্যমে খবর হিসেবে প্রকাশিত হয়। যাত্রীরা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের এমন অবহেলার শিকার আজ নতুন নয়। এর থেকে মুক্তি দরকার। এর থেকে মুক্তির জন্য রাত্রীকালীন সময়ে যে লঞ্চগুলো চলাচল করে সেগুলোতে নৌ পুলিশের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। যেন অযাচিতভাবে লঞ্চ মালিক, স্টাফরা যাত্রীদের হয়রানি এবং একক কর্তৃত্ব করতে না পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মো. সায়েদ আফ্রিদী
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন