মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গঙ্গা পদ্মা গ্রাস করছে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকা। মালদহ, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ- তিন জেলাতেই নদী ভাঙনের সমস্যা নিয়ে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্মাণের জেরে নদীর গতিপথ বদল হয়েই গত দু’দশক ধরে এ সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে তিন জেলা। গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালের চুক্তিও নদীর পাড় ভাঙনের জন্য দায়ী বলে চিঠিতে মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ২০০৫ সালে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের দু’দিকে মোট ১২০ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধ এবং নদী পাড় সুরক্ষিত করার আওতায় নিয়ে এসেছিল কেন্দ্রীয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু ২০১৭ সালে একতরফাভাবে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কেন্দ্র। ফলে নদীভাঙন আটকানোর কাজও ব্যাহত হয়।
চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, গত ১৫ বছরে তিন জেলার প্রায় ২৮০০ হেক্টর কৃষি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। সরকারি বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। রাজ্যের তরফে বারবার কেন্দ্রকে নদীভাঙন রোধে উদ্যোগী হতে অনুরোধ করা হলেও কাজ হয়নি। উল্টো রাজ্যের তরফেই প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে নদীভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হয়েছে। তবে রাজ্যের পক্ষে যে এত বিপুল অর্থ ব্যয় কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে, তাও প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন ম্খ্যুমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গঙ্গা-পদ্মার দু’পাড় সংলগ্ন ৩৭টি জায়গায় অবিলম্বে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা প্রয়োজন। যার জন্য প্রায় ৫৭১ কোটি টাকা প্রয়োজন।
কেন্দ্রীয় সরকার যাতে অবিলম্বে ফরাক্কা ব্যারেজের দু’দিকে ১২০ কিলোমিটার এলাকায় নদীর পাড় ভাঙন আটকানোর কাজের দায়িত্ব নেয়, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি, মহানন্দা, ফুলহার, আত্রেয়ী, পুনর্ভবার মতো নদীগুলোর জন্য দুই দিনাজপুর এবং মালদহ জেলার একুশটি ব্লকও যে ভয়াবহ ভাঙনের সম্মুখীন হচ্ছে তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এসব এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে একটি প্রকল্পের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য গঙ্গা ফ্লাড কন্ট্রোল কমিশনেও রাজ্যের তরফে ২০২১ সালে পাঠানো হয়েছে। এই প্রকল্পেরও যাতে দ্রুত অনুমোদন মেলে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে সেই আবেদন রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্র : নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।