Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রূপকার রফিকের নামে জাতীয়ভাবেও অনেককিছু হওয়া উচিত’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৪৮ পিএম

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রূপকার রফিকুল ইসলাম রফিকের নামে এখনও কোনো সড়কের নামকরণ না করা দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ইনকিলাব সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ। তিনি বলেন, যিনি দীর্ঘদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদেরকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার স্বীকৃতি এনে দিলেন, তার জন্মস্থান কুমিল্লার উজির দিঘীর পাড় তথা কুমিল্লায় তার নামে এখনও কেনো একটি সড়কের নামকরণ করা হয়নি, তা আমার বোধগম্য নয়।তিনি বলেন, তার নামে জাতীয়ভাবেও অনেককিছু হওয়া উচিত।

তিনি বলেন, আজকে ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুরের মতো বরেণ্য ব্যক্তিদের জাতীয়ভাবে যথাযথ মূল্যায়ণ করা উচিত।এমন গুণীজনদের সম্মান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সিদ্ধিরগঞ্জের আল-হেরা ইন্টারন্যাশনাল স্কুল আয়োজিত দেশাত্ববোধক গান, কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এমন অনুদারতা কেনো প্রশ্ন রেখে এই ভাষাসৈনিক সন্তান বলেন, জাতীয়ভাবে ভাষাসৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না হওয়াও দুঃখজনক।তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রূপকার রফিকের নামে কুমিল্লা শহরে একটি এবং তার পিতা ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের নামে বুড়িচংয়ে একটি সড়কের নামকরণের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অন্যতম রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে অবশেষে ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর সকালে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি ১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনানের কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন। সাথে ছিলেন কানাডার ভ্যানকুভার শহরে বসবাসরত বাঙ্গালী আবদুস সালাম। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২০১০ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতভাবে পাস হয়। জাতিসংঘ তখন ঘোষণা করে, এখন থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে। অনুষ্ঠান শেষে ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন করা হয় এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাতৃভাষা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ