পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ধর্মে মন দেবেন। রুপোলি দুনিয়ার চাকচিক্য থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান। এই কথা বলেই বলিউডে অভিনয় ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী জাইরা ওয়াসিম। নিজের সমস্ত ছবি পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম থেকে মুছে ফেলেছিলেন। আর এবার তিনি কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক নিয়ে মুখ খুললেন। ফেসবুক পোস্টে বললেন, পছন্দ বা অপছন্দ হিসেবে কেউ হিজাব পরেন না। ইসলামে হিজাব পরার বাধ্যবাধকতা আছে।
জাইরার মতে আল্লাহর প্রতি কর্তব্য পালনেই হিজাব পরতে হয়। কারো ব্যক্তিগত পছন্দ বা পছন্দ নয় সেসবের জন্য না। তার দাবি, ধর্মীয় কর্তব্য পালনে মহিলাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। জাইরা তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে লেখেন, হিজাব ব্যক্তিগত পছন্দের একটি বিষয়, এই ধারণাটাই ভুল। নিজের সুবিধার্থে বা অজ্ঞতা থেকে এসব বলা হয়। হিজাব ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বিষয় নয়। এর ইসলামে বাধ্যবাধকতা আছে। যে মহিলা হিজাব পরেন, তিনি আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। আমি কৃতজ্ঞতা ও নম্রতার সঙ্গে হিজাব পরি। আমার মতো এক নারীর পক্ষে এই পুরো বিষয়টিই বিরক্তিকর যেখানে ধর্মীয় কর্তব্য পালনে মহিলাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে এবং হেনস্থা করা হচ্ছে।
জাইরা আরও লিখছেন, “মুসলিম মহিলাদের শিক্ষা ও হিজাবের মধ্যে যেকোনও একটি বেছে নিতে বলা হচ্ছে। এমন একটি ব্যবস্থা গড়ে তুলে মুসলিম মহিলাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। নিজেদের সুবিধা ও উদ্দেশ্যের জন্য মুসলিম মেয়েদের যে কোনও একটি বেছে নিতে বলা হচ্ছে। উপরন্তু তাঁদেরই সমালোচনা করা হচ্ছে। এটি খুবই খারাপ আচরণ।” নারী ক্ষমতায়ণের নামে মুসলিম মেয়েদের সঙ্গে অবিচার করা হচ্ছে যা নারী ক্ষমতায়ণের উল্টো। এমনই মত জাইরার।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে অভিনয় ও গ্ল্যামার জগৎ ছেড়ে ধর্মীয় আচারে মন দেবেন বলেছিলেন জাইরা। নিজের সমস্ত ছবি সোশ্যাল মিডিয়া থেকেও সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। আমির খানের ছবি দঙ্গল থেকে বলিউডে অভিনয় শুরু করেছিলেন জাইরা ওয়াসিম। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত দ্য স্কাই ইজ পিংক ছবিতে। সূত্র : নিউজ১৮।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।