মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
একসময় ভারতের মুসলিমদের ‘কৌশলগত ভোটদানের’ প্রবণতার জন্য তাদেরকে নির্বাচনী ফলাফল নির্ধারণের নিয়ামক হিসাবে দেখা হতো। ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি ধর্ম বিভাজনের চরম ব্যবহার করে হিন্দু ভোট একত্রিত করার উদ্দেশ্যে সংখ্যালঘু ভোটকে কোনঠাসা করে দেয়ার আগ পর্যন্ত মুসলিমরা উত্তরপ্রদেশে একটি শক্তিশালী ভোটার সমাজ ছিল। এর আট বছর ও তিনটি বড় নির্বাচনের পর ২০২২ সালের উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে মুসলিম ভোট ব্যাংক একেবারেই নিশ্চুপ। যদিও প্রদেশটির জনসংখ্যার ১৯ শতাংশেরও এর বেশি এবং এখনও তারা সংখ্যাগত শক্তির মাধ্যমে ৪ শ’ ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ১ শ’ ২০ টিরও বেশি ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে, তবুও এই নীরবতা শুধু তাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। হিন্দু ভোটের মেরুকরণ বন্ধ করার পাল্টা কৌশল হিসেবে দেখা ‘মুসলিম ইস্যু’ নিয়ে গলা ফাটানো রাজনৈতিক দলগুলো এখন নীরব। অ-বিজেপি দলগুলি মুসলিম সম্প্রদায়ের সাথে যুক্ত বিভিন্ন বিষয়ে নীরব পালন করছে, যারা উত্তরপ্রদেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে খোলাখুলিভাবে সমর্থন করেছিল, বা মুসলিম প্রার্থীদের মাঠে নামানোর ঘোষণা দিয়েছিল।
উত্তর প্রদেশের মুসলিম হৈতষি সমাজবাদী পার্টি কতজন মুসলিম প্রার্থীকে মাঠে নামিয়েছে তা এখনও প্রকাশ করেনি, অন্যদিকে মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি) দলিত-মুসলিম থেকে দলিত-ব্রাহ্মণের দু:খ-কষ্ট নিরসনের দিকে মনোনিবেশ করেছে। প্রধান প্রতিদ্বন্দীদের কেউই তাদের ইশতেহারে কোনো সম্প্রদায়ের জন্য সুনির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি দেননি। ফলে, নিপিড়ন এবং বৈষম্য তাদের অনেককেই হতাশ ও ভোটদানে অনাগ্রহী করে তুলেছে। অবশ্য, অনেক মুসলিম এই নীরবতাকে ভোটের আরও মেরুকরণ ঠেকানোর সঠিক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।
শীর্ষ শিয়া ধর্মগুরু মাওলানা সাইফ আব্বাস বলেছেন যে, তারা ‘উত্তর প্রদেশ ডেমোক্র্যাটিক ফোরাম’ গঠন করেছেন, যেখানে মুসলিম ভোটারদের ভোট দিতে রাজি করানোর জন্য বেশ কয়েকটি জাতীয় সংগঠন রয়েছে। তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালে আমরা দেখতে পেয়েছি যে সম্প্রদায়ের ভোটদান ৫০ শতাংশেরও কম ছিল।’ উত্তর প্রদেশের মুসলিম সমাজ ভোটাধিকারের পূর্ণব্যবহার করতে প্রস্তুত জানিয়ে আব্বাস বলেছেন, ‘ফোরাম সন্তুষ্ট যে, লোকেরা প্রথম ধাপে ভোটে যাওয়া জন্য নির্বাচনী এলাকাগুলিতে তাদের আবেদনে সাড়া দিয়েছে।’ উল্লেখ্য, ১৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ভোটদানকারী নয়টি জেলার মধ্যে ছয়টিতে মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ। সূত্র : টাইম্স অফ ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।