মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
যে কোনও মুহূর্তে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করে বসতে পারে- পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলো থেকে এমন হুঁশিয়ারি পেয়ে এক ডজনেরও বেশি দেশ তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। নাগরিকদের ফিরে আসতে বলা দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি আছে। এদিকে, ইউক্রেনে হামলা চালানো হলে এর ‘সমুচিত জবাব’ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভিডিও ফোনে আলাপকালে এই হুমকি দেন বাইডেন।
যদিও আক্রমণের ইচ্ছে থাকার কথা অস্বীকার করছে মস্কো, কিন্তু ইউক্রেনের সীমান্তে এরইমধ্যে লাখখানেক সৈন্য মোতায়েন করেছে দেশটি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বলছেন, আক্রমণের যে হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে তা আতঙ্ক তৈরি করতে পারে। এই আতঙ্ককে তিনি ‘শত্রুদের প্রিয় বন্ধু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজ থেকে বলা হয়েছে যেকোনও সময় আক্রমণ হতে পারে, আকাশ থেকে বোমা মেরে আক্রমণ শুরু হতে পারে। রাশিয়া এই ধরনের অভিযোগকে ‘উষ্কানিমূলক অনুমান’ বলে চিহ্নিত করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অগুরুত্বপূর্ণ কর্মীদের ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস ছাড়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে, রোববার থেকে কনস্যুলার সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও জরুরি অবস্থা বিবেচনায় ‘পশ্চিমের শহর লিভিভে ছোট পরিসরে’ কনস্যুলার সার্ভিস চালু রাখা হবে। কানাডার গণমাধ্যমের খবর মতে, কানাডাও দূতাবাস কর্মীদের লিভিভে সরিয়ে আনছে, এই শহরটির সীমান্ত পোল্যান্ডের সাথে। ইউক্রেনে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মেলিন্ডা সিমন্স টুইটে লিখেছেন, তিনি ও ‘কোর টিম’ অর্থ্যাৎ একান্ত যাদের প্রয়োজন তারাই কিয়েভে অবস্থান করছেন।
রাশিয়া নিজেরাও কিছু পরিবর্তন আনছে, ‘কিয়েভ শাসক বা তৃতীয় কোনও দেশের উষ্কানি’র জন্য তারা ইউক্রেনে নিজেদের কূটনীতিবিদদের যতটা প্রয়োজন ততজন স্টাফ রাখবে। ইউক্রেনের বাইরে ইউক্রেনিয়ান সৈনিকদের প্রশিক্ষন দেয়া ১৫০ জনের একটি বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র সরিয়ে আনছে, তারা বলছে বাড়তি সতর্কতা হিসেবেই এই উদ্যোগ। ডাচ মিডিয়ার দেয়া তথ্য মতে, ডাচ এয়ারলাইন কেএলএম ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেনে তাদের কোনও ফ্লাইট যাবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলছে, যদি পশ্চিমা শক্তিগুলোর হাতে আসন্ন আক্রমণ নিয়ে কোনও সুনিশ্চিত প্রমাণ আছে কি না তিনি নিশ্চিত নন। ‘একটা পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের সকল তথ্যই মনে হচ্ছে মিডিয়ার কাছে আছে,’ তিনি বলেন, ‘আমরা ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত, আমরা জানি ঝুঁকি আছে। যদি আপনার কাছে শতভাগ নির্ভরযোগ্য তথ্য থাকে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ নিয়ে, আমাদেরকে জানাতে পারেন।’ অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, ইসরাইল, নেদারল্যান্ডস ও জাপান তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগ করতে বলছে। কোনও কোনও দেশ ইউক্রেনে তাদের কূটনৈতিক কর্মীদের পরিবারসহ সরিয়ে এনেছে।
এদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সঙ্কট নিরসনের অংশ হিসেবে ভিডিও কলে আলাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। তবে হোয়াইট হাউসের এক মুখপাত্র জানান, এক ঘণ্টার আলোচনাটি অনেক পেশাদার হলেও সঙ্কট নিরসনের ক্ষেত্রে নতুন কোনো কার্যকর ভূমিকা তৈরি করতে পারেনি। হোয়াইট হাউজ থেকে আসা বার্তায় বলা হয়েছে, বাইডেন পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি হামলা হয় তবে এর ‘দ্রুত এবং কঠিন মূল্য দিতে হবে রাশিয়াকে। যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিকভাবে মোকাবেলায় প্রস্তুত এবং আমরা অন্য যেকোনও পরিস্থিতির জন্যও একইভাবে তৈরি’।
ক্রেমলিন এই কলটিকে যুক্তরাষ্ট্রের ও তার মিত্রদের ‘হিস্টিরিয়া’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে, পুতিন তার প্রতিপক্ষকে বলেছে, তারা রাশিয়ার নিরাপত্তা উদ্বেগ সামাল দেয়নি এখনো। তবে রাশিয়া বলছে, দুই দেশের শীর্ষ নেতারা কথা চালিয়ে যাবেন। ফ্রেঞ্চ অ্যাম্বাসির নোটে বলা হয়েছে, ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ পুতিনের সাথে ফোনালাপে বলেছেন, ‘ঘটনাপ্রবাহ যেভাবে আগাচ্ছে তাতে আন্তরিক সংলাপ হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেনে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র রাষ্ট্রগুলো এর সমুচিত জবাব দেবে এবং রাশিয়াকে তাৎক্ষণিক ও কঠোর ফল ভোগ করতে হবে।’ তাছাড়া ইউক্রেনে হামলা হলে তার ফল খুব মারাত্মক হবে এবং মস্কো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি নিউজ, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।