নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিপিএল শুরুর কয়েক দিন আগেও যদি প্রশ্নটিই করা হতো টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট কে? নির্দ্বিধায় অনেকের উত্তরই হত মিনিস্টার ঢাকা। যে দলে বাংলাদেশের সাবেক তিন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজা এবং তামিম ইকবাল রয়েছে সে দলকে ফেভারিট লিস্টে না রেখে উপায় আছে! পাশাপাশি দলের পেস আক্রমণে রয়েছে রুবেল হোসেন, এবাদত হোসেনের মত নাম। মোটকথা বিপিএল শুরু হওয়ার আগেই মিনিস্টার ঢাকা যেন টুর্নামেন্ট ফাইনালিস্ট হবে এমনটা অনেকেই ধরে নিয়েছিল। কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠ দেখে ফেলল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। তাদের ছাড়াই প্লে অফ পর্ব হতে যাচ্ছে এবারের বিপিএলের।
বাঁচা-মরার লড়াই। বিপিএলের প্লে-অফে টিকে থাকতে জয় ছাড়া অন্য কোনো রাস্তা নেই। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে খুলনা টাইগার্সের কাজটা হয়ে উঠল কঠিনতর। ফাফ ডু প্লেসির সেঞ্চুরিতে তাদেরকে ১৮৩ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগের দিন দুই দলের দেখায় কাছাকাছি রান তাড়ায় (১৮৯) অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল খুলনা। কিন্তু এদিন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া সমীকরণে সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারায় দেখা গেল তদেরকে। ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও বাংলাদেশের শেখ মেহেদী মিলেই শেষ করে দিলেন ম্যাচ। ৮ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বিরাট জয়ে শেষ দল হিসেবে আসরের প্লে-অফের টিকেট পেল মুশফিকুর রহিমের দল। তাতে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল তামিম, মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহদের ঢাকার।
গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে তাণ্ডব চালান ফ্লেচার ও শেখ মেহেদী। দুই ওপেনার মিলে দলকে পাইয়ে দেন ভীষণ কাক্সিক্ষত জয়। তাদের চার-ছক্কার ফুলঝুরির বিপরীতে অসহায় ছিলেন কুমিল্লার বোলাররা। ফ্লেচার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ১০১ রানে। তার আগের সেঞ্চুরিটিও ছিল বিপিএলে। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেওয়া শেখ মেহেদী মঈন আলীর শিকার হন ৪৯ বলে ৭৪ রানে। তখন জয় থেকে মোটে ১ রান দূরে ছিল খুলনা। ক্রিজে নেমে উইনিং শটটি খেলেন সৌম্য সরকার।
ফ্লেচারের সেঞ্চুরিটি এবারের বিপিএলে সব মিলিয়ে চতুর্থ। তার ও শেখ মেহেদীর ১১১ বলে ১৮২ রনের উদ্বোধনী জুটিটি চলতি আসরে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে এর চেয়ে বেশি রানের জুটি আছে কেবল তিনটি।
এর আগে বিকেলের ম্যাচেই নিজেদের কাজটি করে রেখেছিল চট্টগ্রাম চালেঞ্জার্স। তলানির দল সিলেট সানরাইজার্সকে গুড়িয়ে প্লে-অফে নাম লেখায় বন্দর নগরীর দলটি। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সিলেটের করা ১৮৬ রানের লক্ষ্য ৪ উইকেট ও ৫ বল হাতে রেখেই জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম। কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নিতে এই ম্যাচটির দিকেই চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিল আগের দিন চূড়ায় থাকা ফরচুন বরিশালের কাছে হেরে শঙ্কায় পড়ে যাওয়া মিনিস্টার ঢাকাও। প্রার্থনা ছিল চট্টগ্রামের হারের, তবে তাদের স্বপ্ন ধাক্কা খায় সিলেটের হারে। বিপিএলের চলতি আসরের তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে সাগরিকার দলটি। যদিও বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৩৯ রানেই ওপেনার জাকির হোসেন ও টপ অর্ডার আফিফ হোসেন ফিরে যান সাজঘরে। এরপর চাদউইক ওয়ালটনের ২৩ বলে ৩৫, শামিম হোসেনের ৭ বলে ২১ ও ওপেনার উইল জ্যাকসের ৫৭ বলে অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের জয় ছিনিয়ে মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।