পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ওঠানামার মধ্যেই মানুষ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রব্যমূল্যের বাড়তি চাপ ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিশেষভাবে সীমিত আয়ের ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে এলপিজি গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। পাইপলাইনের প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়ানোরও প্রস্তাব রয়েছে। ঢাকা ওয়াসা ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়িয়েছে। আরও ৪০ শতাংশ দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। প্রতি বছর পানির দাম বাড়ালেও পানির গুণগত মান বাড়েনি। সরবরাহ লাইনের পানি বিশুদ্ধ না হওয়ায় পানি ফুটিয়ে বা ফিল্টার করে পান করতে হয়। অন্যদিকে চাল, ডাল, ভোজ্যতেলের দাম বেড়েই চলেছে। করোনার কারণে একদিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের আয় কমেছে, অন্যদিকে বাড়তি দামের খড়গ ঝুলছে মাথার উপর। ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়ে চলেছে, যদিও সরকার বলছে রেকর্ড পরিমাণ চাল মজুদ আছে। এতো এতো চাল মজুদ থাকলে দাম বাড়ছে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে মজুতদার ও মিলমালিকদের দোষারোপ করা হয়। যদি তারা এই কারসাজি করে থাকে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয় না কেন? সরকার কেন নিরব দর্শক হয়ে আছে? গত কয়েকদিন আগে দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের একজন বললেন, সবকিছুর এতো দাম বাড়ার পরও দেশে নাকি কোনো হাহাকার নেই। দেশের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের কারো কাছ থেকে এরকম গা ছাড়া কথা কাম্য নয়। এটি খুবই দুঃখের বিষয় যে, দেশের মানুষের হাহাকার তিনি শুনতে পান না। নিম্ন আয়ের মানুষ ভালো নেই। তাদের অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। বাজার তদারকি করুন। দ্রব্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণ করুন। গ্যাস, পানি, বিদ্যুতের দাম বাড়ানো থেকে বিরত থাকুন। সীমিত আয়ের মনুষের জীবনযাত্রা সহজ করুন।
সাজ্জাদ হুসাইন।
শিক্ষার্থী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।