Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যে কোনো দিন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করতে পারে রাশিয়া : যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১০:২৪ এএম | আপডেট : ১১:০০ এএম, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

 

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, রাশিয়া বড় ধরনের সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।ইউক্রেনকে "যেকোন সময়" আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং মার্কিন নাগরিকদের আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে।-বিবিসি

 

শুক্রবার হোয়াইট হাউস বলেছে, বিমান থেকে বোমা হামলার মাধ্যমে একটি আক্রমণ শুরু হতে পারে যা অবস্থাকে কঠিন করে তুলবে এবং বেসামরিক নাগরিকদের বিপন্ন করে তুলবে। সীমান্তের কাছে এক লক্ষেরও বেশি সেনা মোতায়েন সত্ত্বেও মস্কো বারবার ইউক্রেন আক্রমণের পরিকল্পনা অস্বীকার করেছে।

অন্যান্য দেশও তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া উল্লেখযোগ্য। এদিকে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছে।


মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জেক সুলিভান আরও বলেছেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছে খবর অঅছে যে, রুশ বাহিনী এখন ‘বড় সামরিক অ্যাকশনে’ যেতে পারে। আমরা স্পষ্টত ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না, আমরা ঠিক জানি না, কী ঘটতে চলেছে সেখানে। তবে সেখানে এখন যথেষ্ট ঝুঁকি রয়েছে এবং হুমকি যথেষ্ট বলে মনে করেন তিনি। সুলিভান আরও বলেন, প্রশাসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আক্রমণ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কিনা তা জানে না। তবে বলেছে যে, ক্রেমলিন সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা দেয়ার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছিল,যা তীব্র বিমান বোমা হামলার মাধ্যমে শুরু হতে পারে।

মার্কিন কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে ইউক্রেনের সীমান্তে আরও রুশ সেনা মোতায়েনের বিষয়ে সতর্ক করার সময় এবং আগামী দিনে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার সামরিক মহড়ার পরিকল্পনা করার সময়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, সীমান্তে রুশ বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি ‘ইউক্রেন-রুশ উত্তেজনা’র ক্ষেত্রে অত্যন্ত উদ্বেগজনক লক্ষণ’। ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা এমন একটি উইন্ডোতে রয়েছি, যখন একটি আক্রমণ যে কোনো সময় শুরু হতে পারে এবং স্পষ্ট করে বলতে গেলে, অলিম্পিকের সময়ও, যা ২০ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, রুশ পদক্ষেপের ঘটনায় আটকে পড়া কোনো নাগরিককে উদ্ধার করতে তিনি সেনা পাঠাবেন না। গতকাল শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রান্সআটলান্টিক নেতাদের সাথে একটি ভিডিও কল হোস্ট করেছেন, যেখানে তারা রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে গুরুতর অর্থনৈতিক পরিণতি ঘটাতে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর ক্যারোলিনার ফোর্ট ব্র্যাগ থেকে পোল্যান্ডে আরও ৩০০০ সেনা মোতায়েন করছে এবং তারা আগামী সপ্তাহে সেখানে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেনারা ইউক্রেনে যুদ্ধ করবে না, তবে মার্কিন মিত্রদের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করবে।বাইডেন এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ উভয়েই আজ শনিবার পুতিনের সাথে কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ