Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বেকারত্ব ও ঋণে দুই বছরে ২৫ হাজার আত্মহত্যা

৫ বছরে ৬৫৫টি এনকাউন্টার ভারতে, জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৫টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ভারতের পার্লামেন্টে বিজেপির সংসদ সদস্য বরুণ গান্ধীর উত্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের পর ৫ বছরে দেশে ৬৫৫টি এনকাউন্টার হয়েছে। আর এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন অনেকে। ভারতে পার্লামেন্টে পেশ করা রিপোর্টে দেখা গেছে, উত্তর প্রদেশে গত ৫ বছরে এনকাউন্টার হয়েছে ১১টি। সবচেয়ে বেশি এনকাউন্টার হয়েছে ছত্তিশগড়ে। সেখানে ১৯১টি পুলিশের এনকাউন্টারের ঘটনা উঠে এসেছে। আসামে ৫০টি এনকাউন্টারের ঘটনা দেখা গেছে। ৪৯টি এনকাউন্টারের ঘটনা উঠে এসেছে ঝাড়খন্ডে ওড়িশায় ৩৬টি এনকাউন্টার তালিকায় এসেছে। এছড়াও উড়িষ্যায় ৩৬টি এনকাউন্টার হয়েছে গত পাঁচ বছরে। ভারত সরকারের রিপোর্টে দেখা গেছে, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের এনকাউন্টার হয়েছে ৩৫টি। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, মোট ২৬টি পুলিশি এনকাউন্টার হয়েছে মহারাষ্ট্রে। একই সময়ে বিহারে ২২, হরিয়ানায় ১৫, তামিলনাড়ুতে ১৪, তেলাঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ ও অরুণাচলের প্রতিটি রাজ্যে শেষ পাঁচ বছরে ১৩টি এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটেছে। শেষ পাঁচ বছরে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মেঘালয়ে ৯ টি, রাজস্থান ও দিল্লিতে ৮টি এনকাউন্টার তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বরুণ গান্ধী এদিন প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, এনকাউন্টারগুলোর নিরিখে দেশে কতজন অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এদিকে কেন্দ্রীয় রিপোর্ট যখন জানাচ্ছে উত্তর প্রদেশে শেষ ৫ বছরে ১১৭টি এনকাউন্টার হয়েছে, তখন গত বছর ওই রাজ্যের অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি অবীনাশ অবস্থি জানিয়েছেন, শেষ পাঁচ বছরে উত্তর প্রদেশে ১৩৯ জন অপরাধী মারা গেছে এনকাউন্টারে। আহত হয়েছে ৩ হাজার ১৯৬ জন। অপরদিকে, ভারতে বেকারত্ব আর ঋণে জর্জরিত হয়ে দুই বছরে ২৫ হাজার ২৫১ আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার সংসদে দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই এ তথ্য জানান। তার দেওয়ার তথ্য মতে, ভারতে ২০১৮ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে এসব আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে বেকারত্বের কারণে ৯ হাজার ১৪০ জন এবং ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে ১৬ হাজার ৯১ জন আত্মহত্যা করেছেন। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) তথ্য তুলে ধরে নিত্যানন্দ রাই বলেন, ২০১৮ সালে ভারতে বেকারত্বের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৭৪১ জন, ২০১৯ সালে সেটা বেড়ে হয় ২ হাজার ৮৫১ জন এবং ২০২০ সালে এই সংখ্যা বেড়ে হয় দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৪৮ জন। এছাড়া ঋণে জর্জরিত হয়ে ২০১৮ সালে আত্মহত্যা করেন ৪ হাজার ৯৭০ জন, ২০১৯ সালে ৫ হাজার ৯০৮ জন এবং ২০২০ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ২১৩ জন। এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 

 

 



 

Show all comments
  • ash ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:১৫ এএম says : 0
    INDIA SHOULD BUY MORE 100 RAFALE
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আত্মহত্যা

১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ