Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউক্রেন সঙ্কট: শান্তি ফেরার বিষয়ে আশাবাদী ফ্রান্স, জার্মানী

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:৪৭ পিএম

আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন ইস্যুতে চলমান উত্তেজনা কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। যদিও একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর সময় এখনো আসেনি। পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে আছে। প্রশমনে আরো অনেক সময় লাগবে। তবে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে আশাবাদী তিনি।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন থেকে ঘুরে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। ইউক্রেন সংকট নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। দেশে ফিরে আলোচনা করেছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। তারপরেই তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধের যে আবহ তৈরি হয়েছিল, তা খানিকটা কেটেছে বলেই তিনি মনে করছেন। আলোচনার মাধ্যমেই ইউক্রেন সংকটের সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যাবে বলে তিনি আশাবাদী। এর আগে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁও এ কথা বলেছিলেন।

শলৎসের বক্তব্য, পশ্চিমা দেশগুলি একসঙ্গে এই সঙ্কটের মোকাবিলা করেছে। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেভাবে সকলে মিলে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছে, তা মস্কোকে খানিকটা ব্যাকফুটে নিয়ে গেছে বলে তিনি মনে করেন। নিষেধাজ্ঞার হুমকি এখনো আছে। এরপরেও যদি রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে তাদের কড়া নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

শলৎসের মতে, সকলে একসঙ্গে এই সংকট কাটানোর চেষ্টা করেছে। এবং তাতেই খানিকটা লাভ হয়েছে। বস্তুত এর আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁও একই কথা বলেছিলেন। তিনি রাশিয়া এবং ইউক্রেন সফর করেন। ফরাসি প্রেসিডেন্ট এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে লম্বা বৈঠক করেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এসে ম্যাখোঁ জানান, আলোচনার রাস্তা তৈরি হয়েছে। শলৎস জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে তিনিও রাশিয়া এবং ইউক্রেনে সফর করবেন। বৈঠক করবেন দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে। শলৎস বলেছেন, এখনো অনেক আলোচনা বাকি আছে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন কোনো দেশই এখনো একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছে না। রাশিয়া প্রথম থেকেই বলছে, তারা যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনের সীমান্তে সেনা পাঠায়নি। আত্মরক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলি তাদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছে বলে অভিযোগ রাশিয়ার। সাম্প্রতিক আলোচনার পর রাশিয়াও জানিয়েছে, আলোচনার মাধ্যমেই তারা সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে চায়। তবে সেখানে রাশিয়ার স্বার্থও দেখতে হবে বলে জানিয়েছে তারা। সমাধানসূত্রে পৌঁছানো খুব সহজ হবে না বলেও জানিয়েছে ক্রেমলিন।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্টই জানিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলির কূটনৈতিক পদক্ষেপ আলোচনার রাস্তা কিছুটা হলেও তৈরি করেছে। কিন্তু এখনো রাশিয়ার এক লাখ সেনা ইউক্রেনের সীমান্তে দাঁড়িয়ে। ফলে উত্তেজনা কমে গেছে, বা আলোচনার রাস্তা তৈরি হয়ে গেছে, এমন ভাবার কারণ নেই। তবে সাম্প্রতিক কূটনৈতিক আলোচনায় লাভ হয়েছে বলেই মনে করছে ইউক্রেন। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউক্রেন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ