মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইকুয়েডরে ভয়াবহ ভূমিধ্বসে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ জনে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে বহু মানুষ। চলছে উদ্ধারকাজ।
গতকাল মঙ্গলবার আহত অবস্থায় উদ্ধার হয় ৪৭ জন। কাদামাটির পুরু স্তরের নিচে চাপা পড়ে আছে রাস্তাঘাটসহ অনেক বাড়িঘর। দুই দশকের মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাতের রেকর্ড গড়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি।
টানা বৃষ্টির জেরে সোমবার ভয়াবহ ভূমিধস হয় রাজধানী কুইটোর উত্তরাঞ্চলে। পাহাড়ি এলাকা থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ে নিম্নভূমিতে। বিধ্বস্ত হয় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর। উপড়ে পড়ে বহু গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও বর্ষণ অব্যাহত উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন এলাকায়।
রয়টার্স বলছে, প্রবল বৃষ্টিপাতের পর গত সোমবার রাতে ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটোতে ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। সেসময় কাদা-মাটি ও পাথরে সেখানকার বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ঢেকে যায় এবং বিদ্যুৎ সেবা ব্যহত হয়। এতে অনেকে তাদের বাড়ি-ঘরে আটকা পড়েন এবং হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
ভূমিধসের একদিন পর মঙ্গলবারও শহরের বহু বাড়ি-ঘর ও রাস্তা কাদার নিচে ছিল এবং আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মেয়র সান্টিয়াগো গুয়ারদেরাস মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২২ জনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৪৭ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া আরও ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।’
গত সোমবার রাতে ভূমিধসের ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ৯ জন নিখোঁজ এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সময় গড়াতেই হতাহত ও নিখোঁজদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। নিখোঁজ মানুষদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন কুইটোর বাসিন্দা আলবা কোটাকাচি।
অবশ্য কুইটোতে আরও ভূমিধস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষও সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে আপাতত নিরাপদ আশ্রয়ে রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়া কাদায় পরিপূর্ণ রাস্তা পরিষ্কারের কাজও চলছে।
রয়টার্স বলছে, ইকুয়েডরের বিভিন্ন জায়গায় বর্তমানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে সেসব এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে এবং শত শত বাড়ি-ঘর ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।