Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিপুল কোভিড চিকিৎসাবর্জ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য বিরাট হুমকি : ডব্লিউএইচও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:৩০ পিএম

করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, টেস্ট কিট, ভ্যাকসিনের শিশি বিশ্বজুড়ে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ মেডিকেল বর্জ্য তৈরি করছে এবং ইতোমধ্যেই এসব বর্জ্য জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ডব্লিউএইচওর মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালে মহামারির শুরু থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ব্যবহার শেষে ফেলে দেওয়া হয়েছে প্রায় ৮৭ হাজার টন পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইউনিট (পিপিই), যা কয়েকশ নীল তিমির ওজনের সমান। -রয়টার্স

দেশটিতে এই সময়সীমার মধ্যে ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া হয়েছে ১৪ কোটি টেস্টিং কিট, যেগুলো সম্মিলিতভাবে তৈরি করেছে ২ হাজার ৬০০ টন প্লাস্টিক বর্জ্য। এই পরিমাণ প্লাস্টিক বর্জ্যে একটি অলিম্পিক সুইমিং পুলের এক তৃতীয়াংশ অনায়াসে ভরে উঠবে। এছাড়া পিপিই ও টেস্টিং কিটের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ বর্জ্য উৎপাদন করেছে ব্যবহৃত টিকার কাচের শিশি, সিরিঞ্জ, সুঁই এবং সেফটি বক্স। যুক্তরাষ্ট্রে এসব ব্যবহৃত পণ্যের ফলে সৃষ্ট বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার টন। ডব্লিউএইচওর প্রতিবেদনে বলা হয়, কেবল যুক্তরাষ্ট্রেই যদি এই অবস্থা হয়- সেক্ষেত্রে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সম্মিলিত বর্জ্যের পরিমাণ কেমন হবে তা অনুমান করাও কষ্টকর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এসব বর্জ্য পুড়িয়ে ফেলা হয়, কিংবা যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়।

বর্জ্য পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর। অন্যদিকে এগুলো ফেলে রাখলে সেখানে বাসা বাঁধতে পারে জীবাণু, যার ফলে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে যেসব দেশের আয়তন কম ও জনসংখ্যা বেশি- সেসব দেশে কোভিড চিকিৎসাজাত বর্জ্য অনেক বেশি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে হাসপাতালের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক খাতে অধিক গবেষণা ও বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে ডব্লিউএইচও বলেছে, ব্যবহৃত চিকিৎসা উপকরণ বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেওয়ার চেয়ে সেগুলোকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলাই এই সমস্যার প্রকৃত সমাধান। এর বাইরে এই বর্জ্যের দুষণ থেকে মুক্তি পাওয়ার কার্যকর কোনো পথ নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডব্লিউএইচও

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ