নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
করোনাভাইরাসের টিকা না নেওয়ায় অনেক ঘটনার পর খেলার সুযোগ পাননি নোভাক জোকোভিচ। রজার ফেদেরার অংশ নিতে পারেননি হাঁটুর অস্ত্রোপচার থেকে সেরে ওঠার প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকায়। তাদের অনুপস্থিতিতে এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে ইতিহাস গড়ার মোক্ষম সুযোগ রয়েছে রাফায়েল নাদালের সামনে। আর সে লক্ষ্যে দুর্দান্ত ছন্দে এগিয়ে চলেছেন এই স্প্যানিশ টেনিস তারকা। ইতালির মাত্তেও বেরেত্তিনির বিপক্ষে দাপুটে জয়ে তিনি উঠে গেছেন আসরের ফাইনালে। গতকাল মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনায় অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ এককের প্রথম সেমিফাইনালে ৩-১ সেটে জিতেছেন নাদাল। ম্যাচের আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিললেও বেরেত্তিনি সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। তাকে কাবু করে ৩৫ বছর বয়সী নাদাল জিতেছেন ৬-৩, ৬-২, ৩-৬ ও ৬-৩ গেমে।
ব্যাকহ্যান্ডে বেরেত্তিনির দুর্বলতার বিষয়টি লক্ষ করে শুরু থেকেই তাকে চেপে ধরেন নাদাল। ঝড়ের গতিতে মাত্র এক ঘণ্টা ২৫ মিনিটের মধ্যে প্রথম দুই সেট জিতে যান তিনি। তৃতীয় সেট অবশ্য হাতছাড়া হয় তার। তবে চতুর্থ সেটে ফের দেখা মেলে অপ্রতিরোধ্য নাদালের। ম্যাচ পয়েন্টের জন্য সার্ভিসের শুরুতে ডাবল ফল্ট করলেও বেরেত্তিনির আরেকটি ব্যাকহ্যান্ড জালে বাধা পেলে উল্লাসে মাতেন তিনি। গত বছর চোট সমস্যায় ভোগা নাদাল সপ্তম বাছাই বেরেত্তিনিকে হারানোর পর বলেছেন পারফরম্যান্স নিয়ে তৃপ্তি ও সন্তুষ্টির কথা, ‘প্রথম দুটি সেট ছিল গত অনেক দিনের মধ্যে খেলা আমার সেরা। আমাকে ভুগতে হয়েছে। আমাকে লড়াই করতে হয়েছে। তবে আবারও ফাইনালে ওঠা আমার জন্য অনেক অর্থবহ।’
২০টি গ্র্যান্ড সø্যাম নিয়ে সার্বিয়ার জোকোভিচ ও সুইজারল্যান্ডের ফেদেরারের সঙ্গে যৌথভাবে শীর্ষে আছেন আসরের ষষ্ঠ বাছাই নাদাল। ফাইনালে জিততে পারলে তাদেরকে ছাড়িয়ে পুরুষ এককে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড সø্যাম জেতার ইতিহাস গড়বেন তিনি। আগামী আগামীকালের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে তার প্রতিপক্ষ হিসেবে থাকবেন দানিল মেদভেদেভ। গতকাল দিনের আরেক ম্যারাথন সেমিফাইনালে গ্রিসের স্তেফনোস সিসিপাসকে ৭-৬(৫), ৪-৬, ৬-৪, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন রাশিয়ান তারকা। পায়ের চোটে কয়েক মাস আগেও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভাবনা পেয়ে বসেছিল তার। সেই তিনিই এখন ২৯তম বারের মতো গ্র্যান্ড সø্যামের ফাইনালে। অন্য তিনটি গ্র্যান্ড সø্যাম (ফরাসি ওপেন, উইম্বলডন ও ইউএস ওপেন) অন্তত দুবার করে জিতলেও অস্ট্রেলিয়ান ওপেন তিনি জিতেছেন কেবল একবার। ২০০৯ সালে পাঁচ সেটে গড়ানো ফাইনালে তিনি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ফেদেরারকে হারিয়ে। ২০২২ সালে সে সে আক্ষেপটা ঘুচবে তো নাদালের? মেদভেদেভ নিজেও মুখিয়ে থাকবেন আসরটি জিতে নিজের করে নিতে। কেননা গতবার জোকোভিচের কাছে হেরেই অস্ট্রেলিয়ার মুকুট ছোঁয়া হয়নি ২৫ বছর বয়সী র্যাঙ্কিংয়ের দুয়ে থাকা একটি গ্র্যান্ড ¯ø্যামের মালিকের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।