নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটের কারণে গত বছরের বেশির ভাগ সময় কেটেছে কোর্টের বাইরে, মাস দেড়েক আগেও তার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা নিয়ে ছিল সংশয়ে। এমনকি ক্যারিয়ারও পড়ে গিয়েছিল খাদের কিনারে। সেখান থেকে যেমন ঘুরে দাঁড়িছেন, কোর্টেও এমন ঘুরে দাঁড়ানোর আরেকটি নজির গড়ে ইতিহাসে নাম লেখালেন রাফায়েল নাদাল। গতপরশু ৫ ঘণ্টা ২৪ মিনিটের মহাকাব্যিক ম্যাচ জিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন এই স্প্যানিশ তারকা। ২০০৯ সালের পর স্প্যানিশ তারকার প্রথম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয় কেবল একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ই নয়, একটি ইতিহাস। রজার ফেদেরার আর নোভাক জোকোভিচকে পেছনে ফেলে ছেলেদের এককে গড়েছেন সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড।
টেনিসের এই তিন ‘গ্রেট’ই এক বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনজনই গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছিলেন ২০টি করে। পরশু মেলবোর্নের রড লেভার অ্যারেনার ফাইনালে দানিল মেদভেদেভের কাছে প্রথম দুই সেট হেরেও নাদাল জিতলেন দুর্দান্ত এক ম্যাচ। ২-৬, ৬-৭ (৫/৭), ৬-৪, ৬-৪, ৭-৫ গেমে জিতে নিজের ২১তম শিরোপায় হাত ছোঁয়ালেন ‘এল ম্যাটাডোর।’
ফেদেরার ও জোকোভিচকে পেছনে ফেলার পর সেই সময় নাদালের তার বেশি করে মনে পড়ছে। সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড় কে- এই বিতর্কে ফেদেরার, জোকোভিচ আর নাদালের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে এদিনের পর নিশ্চিতভাবেই নাদাল কিছুটা এগিয়ে। মেদভেদেভের বিপক্ষে নাদালের জয়ের পর দেরি করেননি রজার ফেদেরার। ফাইনাল শেষ হতেই নাদালকে ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছেন শুভেচ্ছা। মাঠে চরম শত্রু, কিন্তু মাঠের বাইরে পরম বন্ধু নাদালের ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয় উদযাপনই করেছেন সুইস তারকা, ‘কী অসাধারণ এক ম্যাচ! বিশ্বের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ে আমার পরম বন্ধু ও “চরম শত্রু” নাদালকে হৃদয়ের গভীর থেকে শুভেচ্ছা জানাই। কয়েক মাস আগেই আমরা একে অন্যকে মজা করে বলছিলাম, আমাদের জীবনটা যে পুরোপুরি ক্র্যাচের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। অথচ, কী অসাধারণ উপায়েই না ঘুরে দাঁড়াল নাদাল।’
এবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ‘রাজা’ নোভাক জোকোভিচের। কিন্তু করোনার টিকা নেননি দেখে তাঁকে নিয়ে কত নাটক! মেলবোর্ন বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে আটক হলেন। কারণ অস্ট্রেলিয়ার করোনা টিকা-সংক্রান্ত আইন ভেঙেছিলেন জোকোভিচ। কোয়ারেন্টিন সেন্টারে বসেই আইনি লড়াই করলেন। আটক অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে অনুশীলনও শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলীয় সরকার তাদের সিদ্ধান্তেই অটল ছিল। টিকাহীন জোকোভিচ খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। তবে সার্বিয়াতে বসেই দেখেছেন নাদালের লড়াই। নিজের রাজ্যে নাদালের এমন কীর্তিতে ফেদেরারের মতো জোকোভিচও শুভেচ্ছা জানান টুইটে, ‘২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যামটি জেতার জন্য অনেক অভিনন্দন নাদাল। অসাধারণ এক কৃতিত্ব দেখিয়েছ তুমি। তোমার লড়াকু মানসিকতা আমাকে বরাবরই অনুপ্রাণিত করে। আরও একবার তোমার লড়াকু মানসিকতা দেখলাম।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।