নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্যালেন্ডারের পাতায় পেরিয়ে গেছে গোটা একটি বছর। কোনো ধরনের ম্যাচ খেলতে নামা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। কোভিড মহামারী, চোট আর নানা বাস্তবতা মিলিয়ে মাঠ থেকে থাকতে হয়েছে দূরে। অবশেষে তার সেই অপেক্ষার অবসান হলো। বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার হয়ে গতকাল সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে ফিরলেন ৩৮ বছর বয়সী পেসার।
ঢাকার ব্যাটিং শেষ হওয়া মাত্রই মাঠে প্রবেশ করেন মাশরাফি। তার সঙ্গে মাঠে নামেন অনেকেই। তবে তারা সবাই একাদশের বাইরের খেলোয়াড়। উইকেটে গিয়ে নিজের বোলিং রান আপটা ঝালিয়ে দেখলেন। বল না করলেও বেশ কয়েকবারই করলেন শ্যাডো। ৪০২ দিন পর ফিরে ভালো কিছু করতে যে কতোটা মরিয়া তা বোঝা যাচ্ছিল তখনই।
ফেরাটাও রাঙালেন নিজস্ব ঢংয়ে। ৪ ওভার বল করে ২১ রান খরচ করে পেয়েছেন ২টি উইকেট। ফিরিয়েছেন সিলেটের দুই ওপেনারকে। প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের অনেকবারই পরাস্ত করে ৯টি ডট বলও করেছেন। তবে হার ঠেকাতে পারেরনি ঢাকা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তার দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১০০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। জবাবে তিন ওভার হাতে রেখেই লক্ষ্য পৌঁছায় সিলেট।
২০২০ সালে জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটেই টিকে আছে মাশরাফির ক্যারিয়ার। এবারের আগে সবশেষ মাঠে নেমেছিলেন ওই বছরের ১৮ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে খেলেছিলেন জেমকন খুলনার হয়ে। এরপর গোটা ২০২১ সালে মাঠে নামা হয়নি। বিপিএল হয়নি ওই বছর। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টি হলেও ফিটনেস সমস্যায় তখন খেলতে পারেননি। পরে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে, ওজন অনেক কমিয়ে নিজেকে তৈরি করে রাখেন বিপিএলের জন্য। প্লেয়ার্স ড্রাফটে তাকে দলে নেয় মিনিস্টার ঢাকা।
তবে বিপিএল শুরুর আগে আবার বাধে বিপত্তি। ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় টান লাগে পিঠে। প্রচন্ড ব্যথায় বোলিংয়ে বিরতি পড়ে। পরে ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে সেখান থেকে আপাত পরিত্রাণ মিললেও নতুন বাধা হয়ে আসে গøুটসের চোট। এই চোটের কারণেই মূলত টুর্নামেন্টে ঢাকার প্রথম তিন ম্যাচে তিনি খেলতে পারেননি। মাঠে ফিরতে গত কয়েকদিনে অনুশীলন চালিয়ে যান তিনি। পুরো রান আপে বোলিং অনুশীলন করে অবশেষে মাঠে নামার মতো অবস্থায় তৈরি করতে পারলেন নিজেকে। এদিন প্রথম স্পেলে তিন ওভার বল করেন মাশরাফি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে ফিরে উইকেট পান। লেন্ডল সিমন্সকে মিডঅনে রুবেল হোসেনের তালুবন্দি করেন। এরপর ইনিংসের ১৭তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে হাফসেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া এনামুল হক বিজয়কে মিডঅনে তামিমের ক্যাচে পরিণত করেন এ পেসার।
এবারের আগে এত লম্বা সময় মাঠের লড়াই থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাকে একবারই। সেই ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে, যখন চোটের কারণে ছিলেন বাইরে। ২০০১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৩ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত তখন ছিল ৪০৮ দিনের বিরতি। জাতীয় দল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর না নিলেও মাশরাফির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের শেষ বলে ধরে নেওয়া যায় নিশ্চিতভাবেই। তবে কদিন আগেও তিনি বলেছেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে যাবেন বিপিএল ও ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।