নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দেশের ক্রিকেটের উন্নতির জন্য বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চালু করা হলেও এই লক্ষ্য পূরণ হয়েছে সামান্যই। বাণিজ্যিক দিক থেকে সাফল্য যেটুকু এসেছে, মাঠের ক্রিকেটে, বিশেষ করে নতুন প্রতিভা তুলে আনায় সেই সাফল্য বিপিএলের এখনও উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। বিপিএলের বেশির ভাগ আসরেই একাদশে ৪ জন কিংবা ৫ জন বিদেশি খেলানোর নিয়ম রাখা হয়। এরপর দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকেন। নবীনদের খেলার কিংবা খেললেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ থাকে কম। এবার একাদশে রাখা যাবে সর্বোচ্চ ৩ জন বিদেশি ক্রিকেটার।
তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে দেশের ক্রিকেটের দীনতা ঘোচানোয় কিছুটা অবদান এবারের বিপিএল রাখবে বলে মনে করেন সাকিব আল হাসান। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার ও ফরচুন বরিশাল অধিনায়কের বিশ্বাস, জাতীয় দলের জন্য এই সংস্করণে নতুন মুখের জোগান আসবে বিপিএলের এবারের আসর থেকে। গতপরশু রাতে দলের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে সাকিব বললেন, এবারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজেদের প্রকাশ করতে পারবেন তরুণরা, ‘দেশের ক্রিকেটারদের জন্য বড় একটা সুযোগ, বড় একটা মঞ্চ নিজেদের মেলে ধরার ও পারফরম্যান্স দেখিয়ে জাতীয় দলে আসার। আমি বিশ্বাস করি, এখান থেকে ২ কিংবা ৩ জন নতুন ক্রিকেটার পাব, যারা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অন্তত জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। নতুন ক্রিকেটারদের পারফর্ম করে জাতীয় দলে আসার জন্য ভালো একটি প্ল্যাটফর্ম এটি, যেখানে তারা পারফর্ম করে জাতীয় দলে আসতে পারে বা না আসলেও অন্তত এমন একটি পর্যায়ে নিতে পারে, যেখান থেকে জাতীয় দলে আসার মতো অবস্থায় যেতে পারে।’
এবার বিপিএলে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) প্রযুক্তি রাখতে পারছে না বিসিবি। ম্যাচ পরিচালনাতে থাকবে দেশি আম্পায়ারদের প্রাধান্য। দেশের আম্পায়ারদের মান নিয়ে এর আগেও নানান প্রশ্ন উঠেছে, এরমধ্যে ডিআরএস না থাকা তৈরি করতে পারে বিতর্ক। তবে সাকিব মনে করেন, এবারের বিপিএল হবে খুবই ফেয়ার। পাশাপাশি সাকিবও এটিও জানালেন, বিসিবি চেষ্টার কোন কমতি ছিল না, ‘যে প্রযুক্তিটা ব্যবহার হচ্ছে সেটা খুব বেশি দিন আসেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। যদি থাকত অবশ্যই ভাল হত। না থাকাটা একটু হতাশার। কিন্তু আমার ধারণা বিসিবি তাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আপনারা যদি বিসিবির সিইওর ইন্টারভিউ দেখে থাকেন তারা আইসিসি পর্যন্ত চেষ্টা করেছে ডিআরএসটা আনার। যেহেতু সম্ভব হয়নি এটা নিয়ে কথা বলার আর কিছু নেই।’
করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার বিদেশ থেকে ডিআরএসের অপারেটর নিশ্চিত করা যায়নি। প্রায় একই সময় শুরু হওয়া পাকিস্তান সুপার লিগে অবশ্য থাকছে ডিআরএস। তবে বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিপিএলের সূচি পরে চূড়ান্ত হওয়ায় এসব ব্যাপারে তারা আগে উদ্যোগ নিতে পারেননি। তবে ডিআরএস না থাকলেও অন্যায্য কিছু হবে না বলেই মনে করেন সাকিব। তার বিশ্বাস বিপিএল হবে একদম বিতর্ক মুক্ত, ‘আমার কাছে মনে হয় খুব ভাল একটা ফেয়ার টুর্নামেন্ট হবে। যেখানে সেরা দলটাই জিতবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।