মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছেন, শুধু মতুয়ারা নন, বিজেপি আমলে সবাই নাগরিকত্ব পাবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরসহ দলের বেশ কয়েকজন বিধায়কের ক্ষোভের জবাবে দিলীপ ঘোষ সোমবার এ কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘সিএএ করতে অনেক সময় লেগেছে। আপনাদের আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। বিজেপি কাজটা করছে।’ পশ্চিম বাংলায় পূর্ববঙ্গ থেকে যাওয়া প্রায় তিন কোটি মানুষ থাকার কথা বলে দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কথার ওপর ভরসা রেখে তারা বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। অর্ধেক কাজ হয়েছে। অর্ধেক হয়নি। তার জন্য সময় দিতে হবে। একমাত্র বিজেপিই পারবে এই কাজ করতে।’
কয়েক দিন আগে রাজ্য বিজেপির পদাধিকারীমণ্ডলী ও জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শান্তনু ঠাকুরসহ কয়েকজন বিধায়ক। এরই মধ্যে রোববার মতুয়া মহাসংঘের বৈঠকে আবার সিএএ কার্যকর করার দাবি নিয়ে সক্রিয় হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ দুটি মিলে চাপে পড়েছে রাজ্য বিজেপি। রোববার মতুয়া মহাসংঘের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়ে বলেন, আগামী লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর হয়ে যাবে। সোমবার তারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল সাবেক রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কণ্ঠে। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গে প্রচারণায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, করোনার টিকা দেওয়ার পরই নাগরিকত্ব আইন কার্যকর হবে। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লোকসভায় সুর পাল্টে বলেন, এই মুহূর্তে সিএএ বিধি প্রয়োগ করা হবে না। এর পর ক্ষোভ জমতে শুরু করে মতুয়া নেতৃত্বের মধ্যে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ভারতের পার্লামেন্টে পাস হয় বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ। এতে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ‘ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে যাওয়া হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। ভারতের মুসলিম সম্প্রদায় এ আইনকে মুসলিমবিরোধী ও অসাংবিধানিক আখ্যায়িত করে। এ নিয়ে দেশজুড়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। সূত্র : এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।