মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উবার নিয়ে যাত্রীরা প্রায়শই নানা খারাপ অভিজ্ঞতা শেয়ার করে থাকেন। তবে সম্প্রতি এক মহিলা যাত্রীর ১৫ হাজার টাকা ফাইনের ঘটনায় তাজ্জব হয়েছেন নেটিজেনরা। উবার চালকের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও ক্যাবের জানলা খোলায় এতগুলো টাকা গচ্চা দিতে হল তাকে। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে সম্প্রতি আজব এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন টরেন্টো নিবাসী লেখিকা অ্যালিসা শোয়ার্টজ। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ি যাওয়ার জন্য তিনি একটি উবার বুকিং করেছিলেন। গাড়িতে ওঠার পর অ্যালিসা দেখেন জানলার কাঁচ বন্ধ রয়েছে। কোভিড গাইডলাইনের কথা মাথায় রেখেই তিনি চালককে জানলার কাঁচ নামিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু, বাইরের তাপমাত্রা অত্যধিক কম থাকার অজুহাত দিয়ে চালক কাঁচ খুলতে রাজি হননি। কিন্তু, সম্প্রতি ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়া ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন করেই অ্যালিসা কাঁচ খোলার জন্য অনুরোধ করেন চালককে। কিন্তু, তাঁর অনুরোধ না শোনায় অ্যালিসা গাড়ি থেকে নেমে যাওয়ার কথাও বলেন।
অ্যালিসার দাবি, এরপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন উবার চালক। কোভিডকে কেবলমাত্র জ্বর বলে উল্লেখ করে যাত্রীকে রীতিমতো হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে চালকের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি অ্যালিসাকে খারাপ রেটিং দেওয়া এবং মোটা টাকা ফাইনের হুঁশিয়ারিও দেন চালক। এরপর বাড়িতে ঢুকে নিজের মোবাইলে উবার ভাড়ার রিসিট দেখেই চক্ষু চড়কগাছ হয় অ্যালিসার। তাঁর দাবি, উবার-এর পক্ষ থেকে তাঁকে ২০৬.৮৯ ডলারের জরিমানা ধরানো হয়েছে। যা ভারতীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় ১৫ হাজার ৩৮৯ টাকা ৮২ পয়সা। ইমেল মারফতও তাঁকে এই বিল পাঠায় উবার। গোটা বিষয়টি জানিয়ে একটি টুইট করেছেন এই লেখিকা। উবার থেকে পাঠানো ইমেলে অ্যালিসাকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট চালক অভিযোগ করেছেন আপনি তাঁর ক্যাবে নোংরা ফেলেছেন। সেই জঞ্জাল পরিষ্কার করতে যে অর্থের প্রয়োজন তার জন্য আপনাকে ফাইন করা হল।
উবার-এর কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করা হলে সেখানে তাঁকে পালটা জানানো হয়, 'আপনি ক্যাবে যে ড্যামেজ ঘটিয়েছেন, তার জন্যই এই ফাইন। এমনকী, গাড়ির জল ফেলে গাড়ির সিট নষ্ট করা হয়েছে বলে একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে।' যদিও গোটা বিষয়টি মানতে নারাজ লেখিকা। তাঁর কথায়, 'চালক নিজেই সিটে জল ঢেলে নষ্ট করেছেন। যদি কোনও কারণে জল পড়ে গিয়েও থাকে কোভিড পলিসি অনুযায়ী জানলার কাঁচ খোলা রাখা উচিত ছিল চালকের। দু'টো বিষয় এক নয়। কী ভাবে সিটে জল পড়ার জন্য এতগুলি টাকা ফাইন করা হতে পারে?'
অ্যালিসা টুইটে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পর অবশেষে নড়েচড়ে বসে উবার। পুরো টাকাটাই ফেরত দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু, এভাবে একজন যাত্রীর সময় এবং টাকা অপচয় করার জন্য উবার-এর পরিষেবার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরাও। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।